প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী সংস্কার শেষ হলে আগামী ২০২৬ সালের জুন মাসের দিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি বলে জানিয়েছেন । আজ রবিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার -সিইসি এসব কথা বলেন। রবিবার দুই কমিশনের প্রধান নির্বাচন ভবনে বৈঠক করে সংস্কারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
রাজনৈতিক দলগুলো ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাচ্ছে এটা কী সম্ভব এবং প্রধান উপদেষ্টাও বলে দিয়েছেন নির্বাচন ঘোষনা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো ঘোষণা দিয়েছেনই যে মিনিমাম সংস্কার করা হলে আগামী (২০২৫) সালের শেষের দিকে আর সংস্কার যদি সত্যিকার অর্থ করতে হয় তাহলে পরের বছরের (২০২৬) জুন মাস এসে (নির্বাচন) যাবে। আমরা উনার বক্তব্যের আলোকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি যেটা যখনই হোক না কেন। ইসি ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে।
সংস্কার কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছে যে উনার তো সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন খুব শিগগিরই দিয়ে দেবেন। সেজন্য আমাদের কোনো সুপারিশ বা বক্তব্য আছে কি-না তা জানতে চেয়েছেন। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে যা অনুভব করছি সেগুলো জানিয়েছি।
কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ সংক্রান্ত কিছু আছে, ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কিছু বিষয় আছে। এছাড়া যেগুলো নির্বাচনের জন্য গুরুত্ব সেগুলো বিষয়ে আমাদের কিছু সুপারিশ থাকবে। উনারা সুপারিশ করুক আর না করুক, আমাদের তা অ্যাড্রেস করতে হবে তা নাহলে আমরা সীমানা পুননির্ধারণ করতে পারছি না। ভোটার তালিকায় যেহেতু যুবকদের আনতে চাই সেহেতু এখানেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, আমরা মার্চ মাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যখন ভোটার সংগ্রহ করবো তখন ১৭ বছর যাদের বয়স তাদের অন্তর্ভূক্ত করবো। আমরা তাদের বিষয়গুলো জানতে চাইনি তবে আমাদের কী প্রয়োজন সেগুলো বলেছি।
পরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংস্কার প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে দেবার চেষ্টা করব, তা নাহলে জানুয়ারির তিন তারিখের মধ্যে দিয়ে দেব। ইসির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে উনাদের কোনো প্রস্তাব আছে কি-না জানতে চেয়েছি।
কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কি – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন তো স্টেকহোল্ডার। উনাদের কাছে জানতে হবে তো। উনাদের কোনো সুপারিশ আছে কি-না সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে। ওনারা সীমানা পূণনির্ধারণ, ভোটার তালিকায় যুবকদের অন্তর্ভূক্তকরাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব করেছেন।