গত ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে চলছে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন। প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি স্কুলে আসনের চেয়ে দ্বিগুণ আবেদন পড়লেও বেসরকারি স্কুলে আসনের বিপরীতে ৮০ শতাংশ আসন ফাঁকা রয়েছে। এ ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
রোববার (২৪ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময়ে পাওয়া তথ্য বলছে, ১২ দিনে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মোট ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। তারা মোট স্কুল পছন্দ দিয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৫২২টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। সরকারি স্কুলে ১ লাখ ৮ হাজারের আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে চারগুণের বেশি। অন্যদিকে ১০ লাখের বেশি আসন থাকার পরও বেসরকারি স্কুলে আবেদন পড়েছে মাত্র দুই লাখের বেশি।
প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সারা দেশের ৬৮০টি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আসন আছে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি। এর বিপরীতে আজ দুপুর পর্যন্ত আবেদন করেছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৩৬ জন শিক্ষার্থী। তারা পছন্দ দিয়েছে মোট ৭ লাখ ৪ হাজার ১৩৬টি।
আবেদন শুরু হওয়ার ১২ দিনে আসন সংখ্যার প্রায় চারগুণ আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ একটি আবেদনের বিপরীতে ৪ জনের বেশি আবেদন করেছে। এ আবেদন চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বাকি ৬ দিনে আরও দেড় থেকে দুই লাখ আবেদন পড়তে পারে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ভর্তির নিয়ম অনুযায়ী— একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিতে পারবে।
অন্যদিকে ঢাকা ও বিভিন্ন মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি আসনে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ২ লাখ ১৭ হাজার ২৫২ জন শিক্ষার্থী। তারা পছন্দ দিয়েছেন মোট ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৬টি। সরকারি স্কুলের চেয়ে ৮ গুণের বেশি আসন হওয়ার পরও এখানে ৭ লাখ ৯০ হাজারের বেশি আসন এখনো খালি। অর্থাৎ বেসরকারি স্কুলগুলোতে এখনো প্রায় ৮০ শতাংশ আসন খালি রয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর পর্যায়ের ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মোট ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। তারা মোট তারা পছন্দ দিয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৫২২টি। আগামী ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের স্কুল নির্ধারিত হবে।
তিনি জানান, উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলো স্থানীয় ভর্তি কমিটির অনুমোদন নিয়ে সরাসরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে। তাদের জন্য অনলাইনে আবেদনের প্রয়োজন পড়বে না।
জানা গেছে, এবার সারা দেশের মোট পাঁচ হাজার ৬২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন নেওয়া হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সরকারি হাই স্কুল ৬৮২টি এবং বেসরকারি হাই স্কুল ৪ হাজার ৬৪৩টি। এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিতে মোট ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে।