#৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কাল
‘উন্নত জীবনের জন্য একসাথে’ এই মূলমন্ত্র ধারণ করে একটি ন্যায্য ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ওয়েভ ফাউন্ডেশন। এ বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালন করছে এর ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। নাগরিক সমাজের সংগঠন হিসেবে ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। পাশাপাশি সর্বজনীন মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইস্যুভিত্তিক পলিসি এডভোকেসি এবং দেশব্যাপী ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বর্তমানে সংস্থার সকল কার্যক্রম ও প্রকল্প ৭টি প্রধান কর্মসূচির অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে: দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবিকার উন্নয়ন; কমিউনিটি অর্থায়ন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন; কৃষি-খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তর; সুশাসন, অধিকার ও ন্যায্যতা; সামাজিক উন্নয়ন ও যুব ক্ষমতায়ন; জলবায়ু ন্যায্যতা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী শক্তির প্রসার এবং গো গ্রীন।
সংস্থার বহুমুখী উদ্যোগ কমিউনিটির ক্ষমতায়নে লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীকে সংগঠিতকরণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও বিভিন্ন সম্ভাবনাসমূহ উন্মোচনে সহায়কের ভূমিকা পালনের মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছে। এ পর্যন্ত দেশের প্রায় ১৭.৫ মিলিয়ন পরিবারের সাথে কাজ করার মাধ্যমে সংস্থা একটি উল্লেখযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সংস্থার এ সকল উদ্যোগ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সাতটি কর্মসূচির মধ্যে সুশাসন, অধিকার এবং ন্যায্যতা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ইস্যু-ভিত্তিক প্রকল্প এবং দুটো উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক – ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ এবং ‘গভার্নেন্স এডভোকেসি ফোরাম’ -এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ সকল কার্যক্রমে দেশব্যাপী বিভিন্ন ক্যাম্পেইন কর্মসূচি, আলোচনা, মতবিনিময় সভা, সংলাপ এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, যেখানে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনরাও সম্পৃক্ত হন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশনের গৌরবময় ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে, আমি আমাদের সকল কর্মী, অংশীজন এবং শুভানুধ্যায়ীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ১৯৯০ সাল থেকে সংস্থা ধারাবাহিকভাবে শিখন এবং অভিযোজনের চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে রূপান্তরের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি গতিশীল শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। একটি সাম্যভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য আমাদের স্বপ্নের প্রতিফলন এবং আমাদের সম্মিলিত শক্তির দ্বারা নির্মিত হয়েছে এ যাত্রাপথ। একসাথে, সবাই মিলে আমরা যেমন অর্থপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছি, এভাবেই আমরা ভবিষ্যতেও আরো নতুন নতুন পথ খুঁজে পাবো।”