#আইন সংশোধন হলে গতি বাড়বে : এমডি
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: সরকারি মালিকানাধীন দেশের অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)। ৭৪ বছরের পুরনো বিশেষায়িত সরকারি এ সংস্থার মূল কাজ হলো গৃহঋণ বিতরণ। পাশাপাশি সংস্থাটি ফ্ল্যাট নিবন্ধন, আবাসন উন্নয়ন ও মেরামত এবং বাড়ি নির্মাণে সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্যও ঋণ দিয়ে থাকে। সব বিভাগীয় শহর ছাড়াও দেশের প্রতিটি জেলায় শাখা আছে বিএইচবিএফসির। সংস্থাটির ঋণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সরল সুদ। ১৯৭৩ সালে তৈরি করা আইন অনুযায়ী এতোদিন ঋণ দিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। ফলে গ্রাহকের চাহিদার তুলনায় অনেক কম ঋণ দিতে সক্ষম ছিল সংস্থাটি। অবশ্য গ্রাহকের চাহিদা এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সেই আইনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা জানান, আইন সংশোধন হলে গতি বাড়বে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্সের।
জানা গেছে, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন ১৯৭৩ সালের আইন অনুযায়ী সংস্থাটি এখনো পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু কর্পোরেশনে ঋণের চাহিদা অনেক বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুলতার কারণে তারা ঋণ দিতে পারছে না। পুরনো আইন অনুযায়ী, বছরে প্রায় ১ হাজার দুশো কোটি টাকার ঋণ দিয়ে থাকে বিএইচবিএফসি। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা ২ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
দ্বিতীয়ত, বর্তমান আইন অনুযায়ী কর্পোরেশনের সব ধরনের ঋণের ফাইল ব্যাবস্থাপনা পরিচালককে অনুমোদন দিতে হয়। এসব জটিলতায় কর্পোরেশনে কাজের ধীর গতি পরিলক্ষিত হয়। তৃতীয়ত, বিএইচবিএফসি’র মূলধনে সরকারের অংশ শতভাগ। বিদ্যমান আইনে পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে সরকারকে ডিভিডেন্ড দেয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। এছাড়া বর্তমান আইনে আরো কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি রয়েছে।
আইনের সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আইনের পরিবর্তন হলে আমাদের কাজ করতে সহজ হবে। দেশের মানুষের চাহিদা অনুয়ায়ি ঋণ দেয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, মানুষের বাসস্থানের কথা চিন্তা করেই আইনের পরিবর্তন চাওয়া হচ্ছে। খাদ্যের পরে মানুষের বাসস্থান দরকার। অনেকের জমি আছে কিন্তু নগদ টাকা না থাকার কারণে স্বপে¦র একটা সুন্দর বাড়ি তৈরি করতে পারে না। মানুষের স্বপ্ন পূরণে বিএইচবিএফসি কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বর্ণিত প্রেক্ষাপটে কর্পোরেশনের কার্যক্রম সূচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য বিদ্যমান আদেশের অনুচ্ছেদ ৪, ৬, ১২, ২১, ২৯, ২৯(৩) এবং ৩০ সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সে প্রেক্ষাপটে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তক্রমে বর্ণিত অনুচ্ছেদগুলো সংশোধন করার জন্য আইন মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।