হাওরের অলওয়েদার সড়ক নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবে সরকার

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, কিশোরগঞ্জের হাওরের অলওয়েদার সড়ক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিক্রিয়া হচ্ছিল। তাই সড়কটি দেখার জন্য এসেছি। সড়কটি যেহেতু হয়ে গেছে এটা নিয়ে আর আমরা ভালো মন্দ বিতর্ক করব না। কিন্তু এটার ফলে যেসব অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোকে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করব।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা পরিষদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ উপদেষ্টা।

এসময় তিনি আরও বলেন, আরেকটা কথা আসছে বন্যা এখানে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সেটার কারণ নদীগুলোতে ড্রেজিং হচ্ছে না। নদীতে পলি জমে যাচ্ছে। সেজন্য আমরা পানিসম্পদ সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখানে এগুলো শুনেছেন। এটার ব্যাপারেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরেকটা কথা আসছে অলওয়েদার সড়কের ফলে জমিতে বালি আসছে এবং আগাছা হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষি সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি ঢাকায় গিয়ে কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব। এই বিষয়টা কীভাবে সমাধান করা যায়।

এসময় তিনি আরও বলেন, হাওরের উপজেলার সঙ্গে একদিকে কিশোরগঞ্জ জেলার সংযোগ আরেকদিকে সিলেটের সংযোগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখব। এখন থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না। মানুষের সঙ্গে কথা বলে, মানুষ যেটা চায়, মানুষ যেটা প্রয়োজনবোধ করে আমরা সেটাই করব।

এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন। কিশোরগঞ্জ থেকে সড়কপথে ইটনা উপজেলা আসার সময়ও তিনি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক পরিদর্শন করেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর আগে আজ সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে সড়কপথে হাওরের ইটনা উপজেলায় আসেন। তিনি ইটনা উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে রেলযোগে কিশোরগঞ্জ স্টেশনে এসে পৌঁছেলে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইকরাম হোসেন ও অভি চৌধুরী উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। সফর শেষে আজ বিকেলে রেলযোগে তিনি ঢাকায় যাবেন।