হাজতখানার টয়লেটে পড়ে মাথা ফাটল কামরুল ইসলামের

দুদকের মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসে টয়লেটে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় এঘটনা ঘটে। এসময় তার মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

কামরুল ইসলামের আইনজীবী নাসিম মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গত নভেম্বর থেকে উনি (কামরুল ইসলাম) জেল হাজতে আটক আছেন। ওনার ওজন কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। উনি বেশ অসুস্থ, পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত। আজকে দুদকের মামলায় হাজিরার দিন ধার্য ছিল। তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে হাজতখানায় রাখা হয়।

তিনি বলেন, কামরুল টয়লেটে যান। টয়লেটে পড়ে গিয়ে মাথার পেছনের সাইডে আঘাত পাওয়ার পর রক্তাক্ত হয়েছেন। হাজতখানায় নিয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ করে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এবিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) তারেক জোবায়ের যুগান্তরকে বলেন, উনি হাই প্রেসারের রোগী। আগে থেকেই একটু অসুস্থ ছিলেন। আজ মামলার ধার্য তারিখে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজতখানায় আনার পর কামরুল ইসলাম টয়লেটে যান। হাই প্রেসার থাকায় উনি মাথা ঘুরে টয়লেটে পড়ে যান। আঘাত প্রাপ্ত হন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে কেরানীগঞ্জ কারা হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

গত বছর ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা–১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ১৯ নভেম্বর তাকে নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কামরুল ইসলামের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগ দখলে রাখা এবং ১৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ২১ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্য তা রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করে দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।