হাতিয়ায় ১৫০ মণ ইলিশ জব্দ, ৫৬ জেলে আটক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অবৈধভাবে ধরা প্রায় ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ১৫০ মণ ইলিশ ও ৫৬ জন জেলেসহ ৩টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) বিকেলে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন মোট ৫৮ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ৭ মে ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার মধ্যরাত ১টায় কোস্টগার্ড স্টেশন হাতিয়া ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন টাংকি ঘাট ও চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় ৩টি ফিশিং বোট (এফবি আমেনা, এফবি নিহা ও এফবি বাবুল) তল্লাশি করে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬ হাজার কেজি (১৫০ মণ) ইলিশ মাছ ও ৩টি বোটসহ ৫৬ জন জেলেকে আটক করা হয়।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্টগার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। কোস্টগার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চলবে। পরবর্তী সময়ে জব্দকৃত মাছ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাতিয়া মো. ফয়েজুর রহমানের উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদরাসা, এতিমখানা, গরিব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং আটককৃত বোটগুলোকে জরিমানা করে ৫৬ জন জেলের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।