দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। বর্তমানে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২ টাকা কমে ৪৮ টাকা, রসুন কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা, আদা কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা এবং শুকনো মরিচ কেজি প্রতি ১০০ টাকা কমে ২০০ টাকা, জিরা কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৬১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমেছে দাম বলছেন খুচরা বিক্রেতারা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
রোববার (৪ মে) সকালে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে কাঁচা বাজার করতে আসা আজমল হোসেন বলেন, সামনে কোরবানি ঈদ, এই ঈদে আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ বেশ কিছু মসলার চাহিদা থাকে। তবে বর্তমানে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে জিরার দাম এবং রসুনের দাম অনেকটাই বেশি আছে। সেই সঙ্গে ডিমের দামও বেশি। এই সব পণ্যের দাম কমলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের অনেক সুবিধা হয়। সরকারের কাছে অনুরোধ ঈদকে সামনে রেখে যেন কোনো ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির না করতে পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ, আদা, রসুন বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে বেশ কিছু পণ্যের সরবরাহ বেশি পরিমাণ রয়েছে। এতে করে সামনে ঈদে দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। তবে কৃষকরা যদি দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পাঁইতারা করে তাহলে ব্যবসায়ীদের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে হবে। বর্তমানে বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গত তিনদিনে প্রায় ৫০০ মেট্রিকটন জিরা এবং ১০০ মেট্রিকটন আদা আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে।