দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়েছে। তাদের অপসারণের পর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এরা হলেন— ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে রেজাউল করিম চৌধুরী, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে তালুকদার আব্দুল খালেক, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, রংপুর সিটি কর্পোরেশনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনে মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে ইকরামুল হক টিটু, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে তাহসিন বাহার সূচনা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে জায়েদা খাতুন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে রয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এর আগে রোববার (১৮ আগস্ট) ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরমধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছে।
মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে খালি হওয়া ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ৪৯৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়া ৭টি পৌরসভার প্রশাসককে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরদিন ১৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী এসব জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।