দীর্ঘ ১৩ বছর জাতীয় জনশুমারির উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এখনও শুমারি শুরুর দিন-তারিখ নির্ধারিত হয়নি, দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন—শিগগিরই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শুমারির দিন-তারিখ ঘোষণা করবে।
“দেশজুড়ে জনশুমারি শুরু হচ্ছে। আমরা খুব শিগগিরই শুমারি শুরুর দিন-তারিখ ঘোষণা করব। শুমারির পর প্রাপ্ত ফলাফলও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে,” আজ মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন অমিত শাহ।
প্রসঙ্গত, ভারতে প্রথম জনশুমারি হয়েছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ১৮৮১ সালে। তারপর থেকে প্রতি ১০ বছর পর পর দেশটিতে জনসংখ্যার গণনা চলে আসছে। সেই অনুযায়ী ২০২১ সালে দেশটিতে শুমারি হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তখন তা সম্ভব হয়নি। পরে আরও বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়েছে আরও ৩ বছর। সেই হিসেবে ১৩ বছর পর জনশুমারি করছে ভারত।
তবে ভারতের জনসংখ্যা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক তথ্য যে একেবারে নেই— এমন নয়। ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল বৈশ্বিক জনসংখ্যা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ। সেখানে বলা হয়, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ এবং চীনকে টপকে এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের জনসংখ্যা সে সময় ছিল ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ।
তারপর ২০২৪ সালের ১২ জুলাই ‘দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ। সেখানে বলা হয়, আগামী আরও অন্তত একশ বছর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের রেকর্ড ধরে রাখবে ভারত।
সূত্র : রয়টার্স, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড