১ জুলাই দোআ, ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ, ৫ আগস্ট গণমিছিল করবে জামায়াত

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে ১ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও ভিন্ন ভিন্ন একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য ১ জুলাই দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হবে।

১৯ জুলাই জামায়াত ঘোষিত ৭ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ এবং ৫ আগস্ট ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণমিছিল পালন করবে দলটি। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় নেতারা।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

আরও পড়ুনঃ যৌথ ব্রিফিংয়ে একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে: জামায়াত

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ১ জুলাই জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠান, ২ থেকে ৪ জুলাই দেশব্যাপী দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ; ৮ থেকে ১৫ জুলাই শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন জামায়াত নেতারা।

১৬ জুলাই জুলাই আন্দোলনে প্রথম অকুতোভয় শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান (রংপুরে)

১৯ জুলাই জামায়াত ঘোষিত ৭-দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দলীয় নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। একইদিন শহীদ পরিবার কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির অংশগ্রহণ করবেন।

২০ থেকে ২৪ জুলাই জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য ও গণ-প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করা হবে। ২৫ থেকে ২৮ জুলাই জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৯ থেকে ৩০ জুলাই মহিলা ও ছাত্রীদের উদ্যোগে কেন্দ্রসহ সব শাখায় সারাদেশে আলোচনা সভার আয়োজন।

১ আগস্ট জাতীয় সেমিনার করা হয়েছে। যেখানে শহীদদের স্মরণে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ১০ খণ্ডের যে স্মারক প্রকাশ করা হয়েছে তার ইংরেজি ও আরবি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। ১ থেকে ৩ আগস্ট ছাত্রদের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচি পালন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক বিজয়ের দিন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের দেশ ছেড়ে পলায়নের দিন। সেদিনটিকে স্মরণ করতে দেশব্যাপী গণমিছিল পালন করবে দলটি। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন দলটির নেতারা।

৬ থেকে ৮ আগস্ট সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী ও আলেম-ওলামাদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোর অনুষ্ঠান। এভাবেই ১ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম, সাংবাদিক, সুধীজন, বুদ্ধিজীবীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষকে ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সফল করতে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

গণমাধ্যম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গণআকাঙ্খা পূরণে, একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনে এ জাতি যে যাত্রা শুরু করেছে গণমাধ্যম তার অসাধারণ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।