আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রাথমিক কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি ব্যাটারদের।
প্রথমে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৩ রান। জবাবে ফারজানা হক পিংকির হাফসেঞ্চুরি এবং শারমিন সুপ্তা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসের সুবাদে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশ ও আয়রল্যান্ডের মেয়েরা দুটি ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে দুটি সিরিজই শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে। আইরিশদের মাটিতে অনুষ্ঠিত দুই সিরিজে সমান একটি করে জয় দুই দলের।
বাংলাদেশ এবার প্রথমবার ঢাকার মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল। সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২ ডিসেম্বর।
১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দেখেশুনে শুরু করেও দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুন ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে। এরপর গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সুপ্তাকে সঙ্গে নিয়ে ৮৫ রানের বড় জুটি গড়েন ফারজানা। সেই জুটিই বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। তবে দুজনই ৭ রানের ব্যবধানে আউট হয়ে স্বাগতিকদের বিপদে ফেলে দেন। ফারজানা ৮৯ বলে ৬ চারে ৫০ এবং সুপ্তা ৬৩ বলে ৪ চারে ৪৩ রান করেন।
মাঝে সোবহানা মোস্তারি আউট হন ১৬ রান করে। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি বেঁধে শঙ্কা কাটিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান জ্যোতি ও স্বর্ণা আক্তার। জয় থেকে বাংলাদেশ যখন আর ১১ রান দূরত্বে তখনই আউট হয়ে যান জ্যোতি। লোভনীয় বল ছয় হাঁকানোর চেষ্টায় শট খেলে ৪০ রানে তিনি বোল্ড হন। ৩৯ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কা মেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। স্বর্ণা ২৯ ও ফাহিমা খাতুন ৪ রানে অপরাজিত থেকে ৪৩.৫ ওভারে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন।
আইরিশদের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন লরা ডেলানি। এ ছাড়া ওরলা প্রেনডারগেস্ট, আভা ক্যানিং ও আরলিন কেলি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন অ্যামি হান্টার। ওরলা প্রেনডারগেস্ট ৩৭ ও ডেলানি ৩৩ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ৩২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন সুলতানা খাতুন। নাহিদা খাতুন ও স্বর্ণা আক্তার একটি করে উইকেট নেন।