১ হাজার ৩৯৬ দিন পর আবার ‘জয়’ পাবে বাংলাদেশ?

আরব আমিরাতের সঙ্গে সিরিজ বাংলাদেশের সূচিতে যোগ করা হয়েছিল পাকিস্তান সিরিজের আগের প্রস্তুতি হিসেবে। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর আত্মবিশ্বাস হোক কিংবা প্রস্তুতি বাড়িয়ে নেয়ার লক্ষ্যেই হোক, আরব আমিরাত সিরিজে যুক্ত করা হয় আরও একটা ম্যাচ। তবে কে জানতো, এই বাড়তি ম্যাচটাই সিরিজের সবচেয়ে বড় ম্যাচ হয়ে উঠবে।

শারজাহতে ২য় টি-টোয়েন্টিতে অবিশ্বাস্য এক হারের পর বাংলাদেশ দলের সামনে এখন আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের বড় চ্যালেঞ্জ। এ এমনই এক চ্যালেঞ্জ, যেখানে বাংলাদেশ বরাবরই ব্যর্থ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের অভিজ্ঞতা যে একেবারেই নেই।

পেছনের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায় গেল ৭ বছরে কেবল দুইবারই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জিতে ফিরেছে বাংলাদেশ। ৬ বছর ৯ মাস আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে ফিরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ জয় এসেছিল ৩য় টি-টোয়েন্টিতে ১৯ রানে জয়ের মাধ্যমে। আর শেষবার বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জিতেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেটা ২০২১ সালের ২৫ জুলাই।

এরপর থেকে যতবারই ১-১ সমতায় থেকে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ, প্রতিবারই হারের হতাশা সঙ্গী হয়েছে। আবার ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ হেরে সিরিজ করতে হয়েছিল ভাগাভাগি। আবার ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে সিরিজের ৩য় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল টাইগাররা। সেবারেও সিরিজ বাঁচানো হয়নি বাংলাদেশের।

সবমিলিয়ে সিরিজ জয় কিংবা সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যর্থতাটা তাই একেবারেই নতুন নয়। আরব আমিরাতের বিপক্ষে শারজাহতে আজ জয় পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিরবে ১ হাজার ৩৯৬ দিন আগের এক স্মৃতি। বছরের হিসেবে সেটা ৩ বছর ৯ মাস ২৭ দিন।

শারজাহতে সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচের স্কোয়াডেও আছে পরিবর্তনের আভাস। আগের ম্যাচে পায়ের সমস্যায় থাকা পারভেজ হোসেন ইমন এদিন থাকতে পারেন একাদশে। এছাড়া হাসান মাহমুদের ফেরার সম্ভবনা রয়েছে। আগের ম্যাচে খরুচে স্পেলের পরেও আজ স্কোয়াডে দেখা যেতে পারে নাহিদ রানাকে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।