অন্তঃসত্ত্বার ডিঅ্যান্ডসি করলে কতদিন পর তিনি নামাজ পড়তে পারবেন?

গর্ভধারণের আট থেকে দশ সপ্তাহের মধ্যে তার জীবিত কিংবা মৃত বাচ্চাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করে নিয়ে আসার জন্য ডিএন্ডসি অপারেশন করা হয়।

এ রকম অপারেশনের ক্ষেত্রে দেখতে হবে গর্ভের বাচ্চা মানবাকৃতি ধারণ করেছিল কি না। বাচ্চা যদি মানবাকৃতি ধারণ করে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়ে যায়, তাহলে ডিএন্ডসি পরবর্তী রক্তপাত নেফাস গণ্য হবে। রক্তপাত বন্ধ হলে তিনি পবিত্র হয়ে যাবেন। রক্তপাত অব্যাহত থাকলে ৪০ দিন পর্যন্ত নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময়ের নামাজের কাজা করতে হবে না, তবে রোজার কাজা করতে হবে।

৪০ দিন পরও রক্তপাত অব্যাহত থাকলে তা অসুস্থতা হিসেবে গণ্য হবে। এ সময় তিনি প্রতি ওয়াক্তে পরিচ্ছন্ন হয়ে অজু করে নামাজ আদায় করবেন, রোজাও রাখবেন।

গর্ভের বাচ্চা যদি মানবাকৃতি ধারণ না করে, কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত না হয় এবং গর্ভপাতের পর রক্তপাত তিনদিনের বেশি অব্যাহত থাকে, তাহলে তা তার হায়েজের স্বাভাবিক সময়সীমা পর্যন্ত অথবা কোনো সময়সীমা না থাকলে ১০ দিন পর্যন্ত হায়েজ গণ্য হবে।

স্বাভাবিক সময়সীমা বা ১০ দিন পরও রক্তপাত অব্যাহত থাকলে তা অসুস্থতা গণ্য হবে। এ সময় তিনি প্রতি ওয়াক্তে পরিচ্ছন্ন হয়ে অজু করে নামাজ আদায় করবেন, রোজাও রাখবেন।

উল্লেখ্য, হায়েজ ও নেফাসের সময় নারীদের নামাজ মাফ হয়ে যায়। এ সময় নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হয় এবং এ নামাজগুলোর কাজাও করতে হয় না।

নামাজের যে ওয়াক্তে হায়েজ বা নেফাস শুরু হয় ওই ওয়াক্তের নামাজও মাফ হয়ে যায়। ওয়াক্তের শেষ দিকে হায়েজ-নেফাস শুরু হলেও একই বিধান। যেমন জোহরের ওয়াক্তের একেবারে শেষেও যদি কারো হায়েজ বা নেফাস শুরু হয়ে যায়, সে তখনও নামাজ আদায় না করে থাকে, তাহলে ওই জোহরের নামাজ তার জন্য মাফ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে কাজা করতে হবে না।

কোনো ওয়াক্তের ফরজ নামাজ আদায়ের সময় হায়েজ শুরু হলে তা পরবর্তীতে কাজা করতে হবে না। তবে সুন্নত বা নফল নামাজ আদায়ের সময় হায়েজ শুরু হলে পবিত্র হওয়ার পর ওই নামাজটি কাজা করে নিতে হবে।

হায়েজ ও নেফাস চলাকালীন সময়ে নামাজের ওয়াক্তে নারীদের আবশ্যক কোনো করণীয় নেই। অনেক আলেম নামাজের অভ্যাস ধরে রাখার জন্য নামাজের ওয়াক্তে অজু করে নামাজের জায়গায় বসে তাসবিহ পাঠ করার পরামর্শ দেন। এটা উত্তম কাজ, জরুরি নয়।