রাশিয়ার পশ্চিমের শহর কাজানে গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে ব্রিকস সম্মেলন। তিন দিনের এ সম্মেলনে যোগ দিতে এই মুহূর্তে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন বিশ্বের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা, যাদের মধ্যে অন্যতম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন ও ভারত মিলে ১৫ বছর আগে গঠন করে ব্রিকস। পরের বছর এই জোটে যোগ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে যুক্ত করে সম্প্রসারণ ঘটানো হয় জোটের।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর আড়াই বছরের মধ্যে এই প্রথম এত বৃহৎ কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাশিয়ায়। ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে পশ্চিমা বিশ্ব নানা অর্থনৈতিক ও সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাকি বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ করে ফেলতে চেয়েছে রাশিয়াকে। তাই এবারের ব্রিকস সম্মেলনের সফল আয়োজনের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেখাতে চাইছেন পশ্চিমাদের সেই প্রচেষ্টা কতটা ব্যর্থ হয়েছে।
ইতোমধ্যে স্বাগতিক প্রেসিডেন্ট পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কাজান পৌঁছানোর খবর জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংও সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি।
এবারের সম্মেলনে যেসব বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম সুইফটের (দ্য সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যানশিয়াল টেলিকমিউনিকেশনস) প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ইউক্রেনে হামলার জেরে ২০২২ সালে সুইফট থেকে বাদ দেওয়া হয় রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে। তাই ব্রিকসের নেতৃত্বে এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন পুতিন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া যুদ্ধ-উত্তেজনা নিয়েও ব্রিকস নেতারা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।