নামাজ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যেসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তার অন্যতম নামাজ। নামাজ সাধারণভাবে প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। চাই তিনি ধনী হোন বা গরিব, নামাজ পড়তেই হয়। নামাজ না পড়ে উপায় নেই। একেবারে মুমূর্ষ রোগীর জন্যও নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে।
কেউ রোগের কারণে স্বাভাবিকভাবে নামাজ পড়তে না পারলে তার জন্য বসে, শুয়ে, ইশারায় যেভাবে সম্ভব নামাজ পড়তে হয়। পুরুষের জন্য সব সময় নামাজের বিধান দেওয়া হয়েছে। তবে নারীর জন্য বিশেষ কিছু কারণে নামাজ না পড়ার বিধান রয়েছে।
এই কারণগুলোর অন্যতম হলো, পিরিয়ড ও সন্তান জন্মের পর বিশেষ যে রক্তস্রাব হয় সেদিনগুলোতে নারীকে নামাজ আদায় করতে হয় না। তবে গর্ভধারণের সময়ও নামাজ পড়তে হয়।
কোনো নারীর যদি গর্ভবতী অবস্থায় সিজদা দিতে কষ্ট হয় তাহলে তার জন্য সম্ভব হলে হাত জমিনে রেখে তার ওপর সিজদা করবে। অন্যথায় হাত সামনে রেখে যতটুতু ঝুঁকতে পারে ততটুকু ঝুঁকে ইশারায় সিজদা করবে। ইশারায় সিজদার সময় সামনে কোনো টেবিল, বালিশ বা অন্য কিছু রেখে তাতে সিজদা করবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে, জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. একজন রোগী দেখতে গেলেন।
তিনি তাকে একটি বালিশের ওপর সিজদা করতে দেখলেন। তিনি তা (বালিশ) নিয়ে সরিয়ে রাখেন। অতঃপর লোকটি একটি কাঠের টুকরা নিল তার ওপর সিজদার জন্য। রাসুল (সা.) তা নিয়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তুমি সক্ষম হলে জমিনের ওপর সিজদা করবে অন্যথায় ইশারা করবে। আর তোমার সিজদা রুকু থেকে বেশি ঝুঁকে আদায় করবে। (সুনানে বাইহাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৪৮৪)
অর্থাৎ গর্ভবতী নারী অসুস্থ ব্যক্তির মতো নামাজ আদায় করবে। শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী একাধিক বিকল্পের কোনো একটি গ্রহণ করবে। রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো, যদি না পারো তাহলে বসে নামাজ পড়ো, যদি তাও না পারো তাহলে ইশারা করে নামাজ আদায় করো। (বুখারি, হাদিস : ১০৫০)।