প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বঙ্গোপসাগরীয় উদ্যোগ বহুখাতীয় প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (বিমসটেক) মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্রমণি পাণ্ডে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহাসচিব বিমসটেকের চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং সংস্থাটিকে আরও কার্যকর একটি আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

বিমসটেক মহাসচিব পাণ্ডে জানান, আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বিমসটেক নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

‘আমরা আরও কার্যকর একটি সংস্থা হতে যাচ্ছি’, বলেন বিমসটেক মহাসচিব। তিনি যোগ করেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বিমসটেক পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে।

থাইল্যান্ডে সেপ্টেম্বর মাসে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের কথা ছিল, কিন্তু তা পিছিয়ে গেছে এবং পরে তা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। পাণ্ডে উল্লেখ করেন, বিমসটেক সম্প্রতি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং সামুদ্রিক পরিবহন ও জ্বালানি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ড. ইউনূস প্রস্তাব করেন, যুবসমাজ, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিমসটেকের আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের যুবকদের নেতৃত্বে সংঘটিত বিপ্লবের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং ঢাকায় একটি যুব উৎসব আয়োজনের প্রস্তাব দেন, যেখানে বিমসটেকের প্রতিটি দেশ থেকে তরুণরা অংশগ্রহণ করবে।

বিমসটেক মহাসচিব পাণ্ডে ড. ইউনুসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসা করেন, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং নিট কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।

তিনি উল্লেখ করেন, নেপালে ৭০০টিরও বেশি ক্লাব এবং ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসার হাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা অঞ্চলজুড়ে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বহন করে।