দীপাবলির ছুটির কারণে হাসপাতালে উপস্থিত নেই কোনও ডাক্তার এবং চিকিৎসাকর্মী। এমন অবস্থায় ইউটিউব ভিডিও দেখে রোগীর ইসিজি তথা হার্ট পরীক্ষা করলেন এক ওয়ার্ড বয়।
যদিও সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা এভাবে টেস্ট করার বিরোধিতা করছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের যোধপুরের একটি হাসপাতালে।
রোববার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এক রোগী অসুস্থতা নিয়ে হাজির হওয়ার পর যোধপুরের পাওতা হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিওতে ওয়ার্ড বয়কে রোগীর ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) পরীক্ষা করতে দেখা গেছে, এমনকি যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের বারবার আপত্তির পরেও।
ভিডিওতে ওয়ার্ড বয়কে স্বীকারও করতে শোনা যায়, তিনি ইসিজি পরীক্ষা করতে জানেন না। তিনি বলেন, দীপাবলির কারণে হাসপাতালে টেকনিশিয়ান এবং চিকিৎসাকর্মীরা উপস্থিত নেই, তাই তিনিই এই পরীক্ষা করছেন।
রোগীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে ওই ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, “আপনি ইসিজি পরীক্ষা সম্পর্কে জানেন না, এটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। আপনি রোগীকে মেরে ফেলতে পারেন। কাজটি ইসিজি সম্পর্কিত, দয়া করে বুঝুন। নেট (ইন্টারনেট) দেখার পরে আপনি কীভাবে ইসিজি পরীক্ষা করবেন?”
তবে আপত্তি জানানোর পরও ওই ওয়ার্ড বয় পরীক্ষা চালিয়ে যান এবং বলেন, “হ্যাঁ, আমি প্রথমবার এই পরীক্ষা করছি। তবে তাতে কোনও সমস্যা আছে?… আমি ইসিজি পরীক্ষা করিনি এবং আমি নিজেও কোনও টেকনিশিয়ান নই। কিন্তু, দীপাবলির কারণে হাসপাতালের কর্মীরা অনুপস্থিত আছেন।”
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর যোধপুর মেডিকেল কলেজের প্রধান বিএস যোধা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন এবং অভিযুক্ত ওয়ার্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ভিডিওটি ১ নভেম্বর শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষাটি প্রাণঘাতী নয়। ভুল ইসিজি পয়েন্ট প্লেসমেন্ট রোগীর জন্য কোনও বিপদ ডেকে আনে না, এটি শুধুমাত্র রিপোর্টে ভুল ফলাফল দেয়।”