ক্ষমতায় গেলে খাল খনন কর্মসূচি শুরু করব: তারেক রহমান

ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আগামীতে ইনশাআল্লাহ বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে আমরা শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি শুরু করব। এটি আমাদের শুরু করতে হবে কৃষকের পানির সুবিধার কারণে, রিজার্ভ ওয়াটারের কারণে। পানি লেভেল নিচে নেমে গেছে, এটাও কিন্তু আমাদের বিপদের কারণ। এমন অনেকগুলো কারণেই আমাদের খাল খনন করতে হবে।

আমাদের দেশে অনেক জায়গা আছে যেখানে আমাদের দেশের কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফসল উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানির কারণে দুইটি হয়েছিল, দুইটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, কৃষি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প। এই অবস্থার কি পরবর্তন হয়েছে? আমার কাছে তা মনে হয় না। আমার কাছে এখনো কৃষি সবচেয়ে বেশি বড়। এই সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজ করছেন। প্রায় প্রতিটা মানুষ কোনো না কোনোভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত বলেও যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কিন্তু কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই আমাদের কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। আমরা প্রতিবার চেষ্টা করেছি কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিতে। খালেদা জিয়ার সময় ৫ হাজার পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল। ফসলের সিজনে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করতো। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে।

কৃষকের বীজের সমস্যার সমাধান করা যায়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটির সমাধান করা আমাদের জন্য জরুরি। বিভিন্ন সময় ফসল নষ্ট হয় সেজন্য আমরা কৃষি বিমার কথা চিন্তা করেছি। অনেক সময় মহাজন থেকে ঋণ নেয় যা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে, সেখান থেকে আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে এই সমস্যাটা আর হবে না।

দেশের জনসংখ্যা কমপক্ষে ২০ কোটি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ২০ কোটি জনসংখ্যার জন্য যদি খাদ্য উৎপাদন করতে হয় তাহলে আমাদের কৃষির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। আর এই বিপুল সংলখ্যা মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি করা সম্ভব না। তাই অবশ্যই মৌলিক খাদ্য যেগুলো সেগুলো আমাদের দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কিভাবে কৃষি জমি বাড়ানো যায় সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো করলে কৃষি জমি বাড়ানো যায়, এটা একমাত্র সম্ভব ক্ষমতায় গেলে।