মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে বিভক্তি, কার্যকর নেতৃত্বের অভাব ও রাখাইনে নিবর্তনমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে না ওঠা তাঁদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এমনটাই মনে করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ।
আজ শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশের রোহিঙ্গা নীতির প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এ সংলাপের আয়োজন করে।
আবদুল হাফিজ বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির ও আশপাশের এলাকার পরিস্থিতির প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে। মাদক ও মানব পাচারের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়গুলো উদ্বেগের।
এসআইপিজির ঊর্ধ্বতন গবেষক মিয়ানমারে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বলেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশে যতটা তৎপর, মিয়ানমারের ভেতরে ততটা তৎপর নয়।
রোহিঙ্গা বিষয়ে একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরির তাগিদ দেন তিনি।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী জানান, নতুন করে যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকেছে, তাঁদের নিবন্ধন বন্ধ আছে। এমন রোহিঙ্গা প্রায় ৫০ হাজার।
যে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখনো মিয়ানমারে আছেন, তাঁদের যাতে বাংলাদেশে আসতে না হয়, রাখাইনে তেমন পরিবেশ তৈরির জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
রোহিঙ্গা সংকট সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে সমন্বয়হীনতা আছে, এমনটা মনে করেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।
এসআইপিজি পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌফিক এম হক সংলাপের প্রথম অধিবেশন সমন্বয় করেন।