উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়ন ও উপকূলীয় অঞ্চল সুরক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় কাজের জোনিং করতে হবে। কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট রুলস এবং স্পেসিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করতে হবে। কোস্টাল জোন পলিসি আপডেট করাও প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সেগুনবাগিচার পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটন ভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষায় ল্যান্ড জোনিং ও কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরির কাজ চলছে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক করতে হবে।

সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ এবং বনায়ন কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, এই প্রকল্পের প্রস্তাবনাগুলো রিভাইজড আকারে আনতে হবে, যাতে দীর্ঘমেয়াদে এ অঞ্চলের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়।

সেমিনারে প্রকল্প পরিচালক শরীফ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান প্রকল্পের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক, অধ্যাপক ড. ইসরাত ঈসলাম এবং অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দীন হাসান প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব.), অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মতিন, প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেন্টমার্টিন দ্বীপকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করতে প্রস্তাবিত ‘জিরো ওয়েস্ট অ্যাকশন প্ল্যান’ নিয়ে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালাইন্স এর সদস্যগণের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সেখানে মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।