পুঁজিবাজারের মূল শক্তিই বিনিয়োগকারী: ডিএসই পরিচালক

বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত৷ মূলত এবাজারের শক্তিই হলো বিনিয়োগকারীরা। তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারলেই বাজার স্থিতিশীল হবে। এজন্য বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী “কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারঅ্যাকটিং ইস্যু ফর দ্য টিআরইসি হোল্ডারস” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আজ সমাপণী দিনে সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমানের পাঠান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়েছে।

ডিএসই’র পরিচালক বলেন, এক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজের সিইও, সিএফও, কমপ্লায়েন্স অফিসার ও অনুমোদিত প্রতিনিধিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে অনুমোদিত প্রতিনিধিদের কমপ্লায়েন্সের সকল নির্দেশনা সঠিকভাবে মেনে চলে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। আপনারা হচ্ছেন বাজারের মূল সহায়ক শক্তি৷

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সার্বিক অর্থনীতির সাথে সমন্নয় রেখে পুঁজিবাজার বড় হয়নি৷ ইতোমধ্যে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাজারে কোনো বাজে আইপিও না আসা। অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এরমধ্যে-টাকা পাচার বন্ধ এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণের কিস্তি না দিলে ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই সরকার পুঁজিবাজারের দিকে আরও অধিক নজর দিবে।

মিনহাজ মান্নান বলেন, একজন বিনিয়োগকারীর জন্য আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীগন লাভবান হতে পারে। অপরপক্ষে কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য অডিট ফার্মগুলোর মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও কোম্পানিগুলোকে আন্তর্জাতিক মানদন্ড আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে যাতে বিনিয়োগকারীরা সহজে এটি বুঝতে পারে। আমাদের পুঁজিবাজারের পরিধি ছোট হওয়ায় অনেক গুজব বাজারে বিদ্যমান। তাই তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের সতর্কতার সাথে লেনদেন সম্পন্ন করার আহবান জানান। কারণ নিয়মকানুন সঠিকভাবে প্রতিপালন করলে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও অটুট থাকে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিএসইসি ও ডিএসই’র উর্ধতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন কমপ্লোয়েন্সের বিষয়সমূহ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার এবং অনুমোদিত প্রতিনিধি) নিয়ম ২০০০, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা ২০২০, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) রেগুলেশন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স ১৯৬৯, ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট ও কমপ্লায়েন্সের প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ, ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির কর্তব্য ও দায়িত্ব, ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির ব্যাক অফিস অপারেশনস ও কনসোলিডেটেড কাস্টমার একাউন্ট এর রক্ষণাবেক্ষন, সার্ভইল্যান্সের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স, ডিএসই’র অটোমেটেড ট্রেডিং রেগুলেসন্স, ১৯৯৯ এর কমপ্লায়েন্স, মোবাইল অ্যাপ এর ফিচার এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (সেটেলম্যান্ট অব ট্রান্সজেকশনস) রেগুলেসন্স, ২০১৩ ও দি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ট্রেকহোল্ডারস মার্জিন রেগুলেসন্স, ২০১৩ এর প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোঃ ছামিউল ইসলাম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির প্রধান সৈয়দ আল আমিন রহমান৷