একক যাত্রার কার্ড সংকটে দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। কোনো স্টেশনে একেবারই একক যাত্রার টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের। ফলে নগরবাসীর নিরবচ্ছিন্ন এই গণপরিবহনে যাতায়াত বিঘ্ন হচ্ছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর ১০ ও ১১ স্টেশনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাতুল ইসলাম। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর-১১ স্টেশনে গিয়ে দেখি সেখানের অধিকাংশ গেট বন্ধ। একজন নিরাপত্তাকর্মীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একক যাত্রার টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় শুধুমাত্র স্থায়ী টিকিটধারী যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র এমআরটি ও র্যাপিড পাসধারী যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। ভেন্ডিং মেশিনে একক যাত্রার টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রীই আমার মতো অন্য গণপরিবহনে গন্তব্যে গেছেন।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট সংকটের বিষয়টি নিয়ে কথা উঠেছে। সেখানেও ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন অনেকে।
এবিষয়ে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ এর উপপরিচালক (জনসংযোগ) আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, একক যাত্রার টিকিটের ঘাটতি থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সকালে অধিকাংশ যাত্রীই মতিঝিলের দিকে যান। সেই তুলনায় বিপরীতদিকে যাত্রী কম থাকায় কিছু স্টেশনে একক যাত্রার টিকিটের সংকট দেখা দেয়।
তিনি বলেন, অন্যান্য স্টেশনগুলোতে থাকা একক যাত্রার টিকিট সংগ্রহ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া জানুয়ারির মধ্যে ১ লাখ ৯৫ হাজার একক যাত্রার নতুন টিকিট পাওয়া যাবে। চলতি মাসেই পাওয়া যাবে ৭০ হাজার টিকিট। এসব কার্ড পাওয়া গেলে আর সংকট থাকবে না।
এর আগে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছিল, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে একক যাত্রায় ব্যবহৃত টিকিটের মধ্যে দুই লাখ কার্ড ফেরত না দিয়েই স্টেশন থেকে বের হয়ে গেছেন যাত্রীরা। কার্ডের অভাবে সংকট হতে পারে জানিয়ে সেগুলো ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করে ডিএমটিসিএল।