এখন থেকে ভারতের মসজিদ ও মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ে আর জরিপ করা যাবে না। তাছাড়া ধর্মীয় উপাসনালয় সংক্রান্ত কোনো মামলাও করা যাবে না। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভারতের উপাসনালয় আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া একাধিক আপিলের শুনানিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশনা দেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, যতদিন উপাসনালয় আইনের বৈধতা নিয়ে দায়ের করা আপিলের শুনানি চলবে, ততদিন নতুন কোনো মামলা করা উচিত হবে না বলে জানিয়েছেন শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতগুলোকে উপাসনালয়ের অবস্থা নিয়ে কোনো ধরনের রায় বা নির্দেশ দিতেও নিষেধ করা হয়েছে।
‘বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির’ বিতর্ক চলার সময় ১৯৯১ সালে ভারতের উপাসনালয় আইনটি পাস করা হয়েছিল। ওই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সম্প্রদায়গুলোর উপাসনালয় যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থা বদল করা যাবে না। বাবরি মসজিদকে অবশ্য ওই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবারের শুনানি চলার সময় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ বলেন, যেহেতু এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই আমরা মনে করি যে কোনো নতুন মামলা দায়ের করা উচিত নয়।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ আরও বলেন, নতুন করে মামলা করা হবে না। সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনো আদালতে বিচারাধীন মামলায় কোনো অন্তর্বর্তী বা চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া যাবে না। জরিপের আদেশও দেওয়া যাবে না।
চলতি মাসের প্রথমদিকে ভারতের রাজস্থানে সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির দরগা আজমির শরিফ শিব মন্দিরের ওপর তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করে একটি মামলা করেছেন এক হিন্দু নেতা। গত মাসে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্ভল মসজিদকে ঘিরে সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত হন। এরপর সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ।
আদালতের নির্দেশে গত ২৪ নভেম্বর সম্ভলের শাহী জামে মসজিদে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। সম্ভাব্য উত্তেজনা এড়াতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেন সমীক্ষাকারীরা। তারপরও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। এতে ছয়জন নিহত হন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা