জান্নাতে প্রিয়নবী (সা.) এর সঙ্গে থাকবেন যারা

জান্নাত লাভ একজন মুমিনের জীবনের একান্ত কামনা-বাসনার বিষয়। জান্নাত থেকেই পৃথিবীতে এসেছিল মানুষ। পৃথিবীর জীবন শেষে জান্নাতে যেতে পারলেই জীবনের স্বার্থকতা। সহসাই মানুষ জান্নাতে যেতে পারবে না। এজন্য আল্লাহর নির্দেশিত পথ-পন্থা অবলম্বন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে। তবেই মিলবে কাঙ্খিত জান্নাত।

জান্নাত লাভ করা এবং জান্নাতে প্রিয়নবী সা.-এর সঙ্গী হতে পারা পরম সৌভাগ্যের। এমন কিছু আমল আছে যার মাধ্যমে জান্নাতে রাসূল সা.-এর সঙ্গী হওয়া যায়। এমন কিছু আমল হলো—

রাসূল সা.-এর আনুগত্যকারী

যারা মহানবী (সা.)-এর আনুগত্য করবে, তারা পরকালে তাঁর সঙ্গী হবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে, তারা তাদের সঙ্গে থাকবে, যাদের আল্লাহ নিয়ামত দান করেছেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬৯)

নবীজির প্রতি ভালোবাসা পোষণকারী

যারা পার্থিব জীবনে মহানবী (সা.)-কে ভালোবাসবে তারাই জান্নাতে তাঁর সঙ্গী হবে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, কিয়ামত কখন হবে? তিনি বললেন, তুমি কিয়ামতের জন্য কী জোগাড় করেছ? সে বলল, কোনো কিছু জোগাড় করতে পারিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসি। তিনি বলেন, তুমি তাঁদের সঙ্গেই থাকবে যাঁদের তুমি ভালোবাস। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৬৮৮)

যারা বেশি পরিমাণে নামাজ আদায় করবে এবং সিজদা করবে পরকালে তারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গী হবে।

রাবিআ বিন কাব আসলামি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে তার অজুর পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আসতাম। একদিন তিনি আমাকে বললেন, তুমি আমার কাছে কিছু চাও। আমি বললাম, আমি বেহেশতে আপনার সঙ্গ কামনা করি। তিনি বললেন, এ ছাড়া অন্য কিছু কি চাও? আমি বললাম, না, এটাই।

তিনি বলেন, তা হলে তুমি বেশি সিজদা দ্বারা তোমার এ কাজে আমাকে সাহায্য কোরো। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১১৩৮)

বেশি বেশি দরুদ পাঠকারী

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমার নিকটমত ব্যক্তি হবে যে আমার প্রতি বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ করেছে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৪৮৪)

উত্তম চরিত্রের অধিকারী

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সর্বোত্তম সে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় এবং সে কিয়ামতের দিনও আমার খুবই কাছে থাকবে।(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০১৮)

কন্যাশিশুর প্রতিপালনকারী

আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির দুজন বোন বা কন্যা থাকে এবং সে তাদের প্রতি উত্তম আচরণ করে, আমি ও সে জান্নাতে এভাবে থাকব (তিনি তাঁর দুই আঙুল মিলিয়ে দেন)। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১২৫৯৩)