আগস্টের ক্ষত শুকায়নি, চলতি মাসেও বন্যার শঙ্কা

চলতি বছর বর্ষার শুরুতে জুনের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যার কবলে পড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ দুর্ভোগে কাটে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের। সে সময় উত্তরাঞ্চলেও পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়।

এরপর উজানের ঢলে জুলাইয়ের শুরুতেও দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। এর ফলে প্লাবিত হয় অনেক গ্রাম। আর অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলে গত ২০ আগস্ট থেকে দেশের ১১ জেলায় (নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার) ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।

হঠাৎ এমন বন্যায় ভেসে যায় ঘরবাড়ি, স্কুল, গ্রাম, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। র্ব্তমানে পানি কমে আসায় ক্ষতি ও ক্ষতের চিত্র সামনে আসতে শুরু করেছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। যদিও এখনও ৭ লাখের বেশি পরিবার পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৪০২ জন। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসেও (সেপ্টেম্বর) দেশের কিছু অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে এক-দুটি বর্ষাকালীন লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই-তিন দিন মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় এবং সারাদেশে তিন-পাঁচ দিন হালকা বজ্রঝড়ের শঙ্কা রয়েছে।

এ ছাড়া চলতি মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে কতিপয় স্থানে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সেপ্টেম্বরে দেশে বিচ্ছিন্নভাবে এক থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি থাকতে পারে।