ঢাকায় সফররত ২২ সদস্যের ব্রিটিশ ব্যাবসায়িক প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলে নিশ্চয়তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকি।
তিনি যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের, বিশেষত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ সরকার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ দূতের সঙ্গে শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রিটিশ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলটি এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ব্যাবসায়িক সংগঠন ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই)’র উদ্যোগে আয়োজিত সাতদিনব্যাপি এ সফরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই ও সভাপতি এমজি মৌলা মিয়া। এ সময় বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী, এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ এমপি ড. রুপা হক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রশিদ, এমবিই, মিডল্যান্ড রিজিউন সভাপতি ইমাম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য আবু সুফিয়ান রনি, ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, এম এ কাদির, ব্যাংক অব এশিয়ার পরিচালক আশরাফুল হক চৌধুরী, সুরি ইউনির্ভাসিটির এসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ওয়াইউ জিয়ং, স্পিনর টেক লিমিটেডের প্রধান কর্মকর্তা কেন সু ও পরিচালক ইভা ঝাং, ম্যাট ট্যাম, গিনি লন্ডনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রবিন্দ্র জাং লামিছানি প্রমুখ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এ সময় প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি, গার্মেন্টস শিল্পের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নতুন বিনিয়োগ, দুর্নীতি দমন, বিভিন্ন দূতাবাসে আরও উন্নত সেবা প্রদান, নতুন সংস্কারের পলিসিতে প্রবাসীদের যুক্ত করাসহ, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন ব্যাবসায়িক বিষয়ে আলোচনা করেন। সভাপতি এমজি মওলা মিয়া বলেন, প্রতিনিধি দলটি বিনিয়োগের উপযোগি পরিবেশ রয়েছে বলে উল্লেখ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রশিদ বলেন এ প্রতিনিধি দলে মধ্যে ব্রিটিশ এমপি রুপা হককে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে বিনিয়োগসহ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিকতা দেখানোর জন্য।
এছাড়াও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশে মাইনোরিটির উপর হামলা হচ্ছে এমন ভ্রান্ত গুজব উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন রুপা হককে এ বিষয়ে এনে বাস্তবতাকে দেখানো হয়েছে কারণ তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে যেন ব্রিটিশ সরকারকে অবহিত করতে পারেন।
পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।