পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পাহাড় ও টিলা কাটা রোধে মনিটরিং এ সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দেশের পাহাড় ও টিলাসহ প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র প্রণয়ন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ কাজে উচ্চ রেজোলিউশনের ওয়ার্ল্ডভিউ-৩ স্যাটেলাইট ছবি (৩০ সেন্টিমিটার) ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। ডিজিটাল টেরেইন মডেল (ডিটিএম) দিয়ে এই এলাকার সীমানা নির্ধারণ আরও নির্ভুল করা হয়েছে। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের গুগল আর্থ স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশ ও ভূমির পরিবর্তন চিহ্নিত করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা জানান, ভূমি ব্যবহারের টেকসই পরিকল্পনা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সামগ্রিক মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। এতে বন, নদী ও জলাভূমির মতো সম্পদ সংরক্ষণ এবং কার্বন মজুদ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, পাহাড় কাটা এবং পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ হেক্টরে হিসাব করা হচ্ছে। সিএইচটি বোর্ড, আঞ্চলিক পরিষদ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে পরামর্শ করে জিআইএস ও রিমোট সেন্সিং দলের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে যাচাই করা হবে। এই প্রকল্প বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, সঠিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।