‘সংক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতা’র মিছিলে পুলিশের বাধা, জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

মতিঝিলে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে ‘সংক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতা’র বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ প্রথমে জলকামান ও টিয়ার শেল এবং পরে সাউন্ড গ্রেনেন্ড নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় একজন নারী আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অর্ধ শতাধিক পাহাড়ির মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড়ের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয়।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছিলাম, এভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাওয়া যাবে না। আপনাদের কোনো প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে যেতে পারেন। কিন্ত তাঁরা রাজি না হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। তখন পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে পাহাড়িরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।’

গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে ‘সংক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতা’র ওপর ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠনের নেতা–কর্মীরা হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা নামের এক শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।

পাঠ্যপুস্তকের ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্র অন্তর্ভুক্ত করার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার সকালে মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবন ঘেরাও করে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের ওই সংগঠন। একই সময়ে ‘সংক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতা’র গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যান। তখন ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে যেতে চেয়েছিল ‘সংক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতা’। এদিকে পাহাড়িদের ওপর গতকালের হামলার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।