ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তিন বছর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ শুরু করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ (সোমবার) ২০ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি চলবে এ তথ্য সংগ্রহের কাজ। যাঁদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তাঁর আগে—এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করবেন তথ্য সংগ্রহকারীরা।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বলেন, ‘আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন করবেন।’
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজ। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
২০০৭-০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-১০ সাল, ২০১২-১৩, ২০১৫-১৬, ২০১৭-১৮, ২০১৯-২০ ও ২০২২-২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি।
ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে:
ক) ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
খ) জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি
গ) নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)
ঘ) এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ঙ) ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রসিদের ফটোকপি)
ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:
ক) নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্মনিবন্ধন বা শিক্ষাসনদের সঙ্গে হুবহু
মিলিয়ে লিখতে হবে
খ) জন্মতারিখ অবশ্যই জন্মনিবন্ধন বা শিক্ষাসনদ অনুযায়ী হতে হবে
গ) স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে
ঘ) কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুবার ভোটার হওয়া যাবে না।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।