নতুন মামলায় সালমান-আনিসুল-পলকসহ গ্রেপ্তার ১৬

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৬ জনকে নতুন করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।

সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া বাকি গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাসদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

এছাড়াও গ্রেপ্তার দেখানো অন্যরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম, মো. জুলহাস, সাব্বির আহমেদ স্বপন এবং সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা।

জানা গেছে, সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার ৪টি ও মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায়, আনিসুল হককে যাত্রাবাড়ী থানার ৭টি, মোহাম্মদপুর থানার একটি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায়, ডা. দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি মামলায়, জুনাইদ আহমেদ পলককে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও সুত্রাপুর থানার একটি মামলা ও রাশেদ খান মেননকে যাত্রাবাড়ী থানার ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া হাসানুল হক ইনুকে যাত্রাবাড়ী থানার ৫টি মামলায়, হাজী সেলিমকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার ৬টি, মোহাম্মদপুর থানার ২টি, সুত্রাপুর থানার ২টি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অন্যদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে কোতোয়ালি থানার একটি ও উত্তরা পশ্চিম থানার একটি মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

একইসঙ্গে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায়, চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলমকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায়, সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায়, মো. জুলহাসকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায়, সাব্বির আহমেদ স্বপনকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে আদাবর থানার মামলায় এবং সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফাকে ভাষানটেক থানার একটি ও কাফরুল থানার একটি মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।