আদালতে সাংবাদিকদের হেনস্তা করলেন সালমান এফ রহমানের আইনজীবীরা

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শুনানির জন্য সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি দিলীপ কুমার আগারওয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর সকাল ১০টার দিকে আসামিদের হাজতখানা থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়। আসামিদের কাঠগড়ায় তোলার সঙ্গে সঙ্গেই সালমান এফ রহমান ও অন্য আসামিদের আইনজীবীরা কাঠগড়ার পাশে ঘিরে ধরেন। আগের মতোই সালমান এফ রহমানসহ সব আসামি তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এরপর বিচারক ১০টা ১২ মিনিটে এজলাসে ওঠেন।

এরপর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কালেরকণ্ঠ, প্রথম আলো ও কালবেলায় কর্মরত সাংবাদিককে হেনস্তা করে কাজে বাধা দেন সালমান এফ রহমানের আইনজীবীরা। সাংবাদিকরা কেন এজলাস কক্ষে আছে বলে উত্তেজিত হন আইনজীবীরা। এরপর ছবি ও ভিডিও করার অভিযোগ তুলে হেনস্তার চেষ্টা করে এজলাস কক্ষ বিশৃঙ্খলা করেন আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকতা করে আসছি। দুদিন আগে সাংবাদিকরা সালমান এফ রহমানসহ বিভিন্ন আসামিদের আইনজীবীদের সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের বার্তা প্রদানের নিউজ করে। এর প্রেক্ষিতে আজ সব সাংবাদিককে নজরে রাখে সালমান এফ রহমানের আইনজীবীরা।

এজলাস কক্ষে সাংবাদিক রয়েছে কেন প্রশ্ন তোলাসহ ছবি ও ভিডিও করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আদালত প্রাঙ্গণ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, সাংবাদিকরা এখানে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। আইনজীবীরা কেন বাঁধা দেবে। আজকের ঘটনা কি হয়েছে, সামনে ছিলাম বলে দেখিনি। তবে সামনের দিন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেউ যেন এ ধরনের আচরণ না করতে বিষয়টি দেখব।

এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। যে-সব আইনজীবী হেনস্তা করেছেন, তাদের নাম দিলে আমরা ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে ন্যায় বিচার করব। আমাদের কাছে শুধু আইনজীবীদের নম্বর দেন। আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব।