পানিতে ডোবা নিয়ে সিআইপিআরবি কাজ করছে অনেক দিন এবং তারা ভালোও করছে। সারা দেশে সাতাঁর না জানার কারণে অনেক মানুষ মারা যায়- এটার জন্য সিআইপিআরবি গ্রাম পর্যায় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান। তিনি বলেন, আমার বাড়ি দক্ষিন বঙ্গে হওয়ায় হাটতে শেখার আগেই সাতার শিখে ফেলেছি। সিআইপিআরবি যে গবেষণা করছে তা যাতে মানুষ সহজে বুজতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা খুবই জরুরি। আমি তাদেরকে বলবো আর একটি বিষয় গবেষণা করার জন্য।তা হলো ধুমপান। টোবাকো কোম্পানিগুলো গবেষণা করে কিভাবে তাদের সিগারেটের বিক্রি বাড়ানো যায়, কিন্তু কমানোর ব্যপারে তারা কাজ করে না।সিআইপিআরবিকে এ ব্যপারে কাজ করতে হবে।
গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপরে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউডে আয়োজিত সিআইপিআরবি-র ২০তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কীতে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং জনগণের সার্বিক কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ইনজুরি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা কার্যক্রম শুরু করলেও গত দুই দশকে জনস্বাস্থ্যের নানা বিষয় যেমন- মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ ইত্যাদি প্রতিরোধে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে। জনস্বাস্থ্য গবেষণার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে, আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করেছে ২১৯টি গবেষণাপত্র। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে ১০টি স্বাস্থ্য বিষয়ক পলিসি, গাইডলাইন ও স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। শুধু তাই নয়, পানিতে ডুবা প্রতিরোধে সিআইপিআরবি-র গবেষকদের তথ্য উপাত্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের দুইটি আলাদা রেজ্যুলেশনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে সিআইপিআরবি।
এ কে আজাদ খান বলেন, গবেষক, মাঠকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকসহ ৬ হাজারের বেশি নিবেদিতপ্রাণ পেশাদারের সম্মিলিত প্রয়াসে সিআইপিআরবি জাতীয় স্বাস্থ্য কৌশলে সক্রিয় অবদান রাখছে, ক্ষমতায়িত ও প্রশিক্ষিত করছে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে। এছাড়াও পারস্পরিক অংশীদারিত্ব ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও কল্যাণের অগ্রগতিতে এর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা প্রতিষ্ঠানটির অবস্থানকে আরো দৃঢ় করেছে”। সিআইপিআরবি-র অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করায় এর প্রতিষ্ঠাতাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সকল কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান অতিথি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএমআরসি চেয়ারম্যান, এবং মেম্বার, হেলথ সেক্টর রিফর্ম কমিশন অধ্যাপক ড. সায়েবা আক্তার বলেন, “সিআইপিআরবি জন্মলগ্ন থেকেই দেশীয় প্রেক্ষাপটে অনেক অবহেলিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে ফলপ্রসূ সমাধান বের করেছে এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপযোগিতা যাচাই করেছে। এই ফলাফলের জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে ফিস্টুলা ও প্রসব পরবর্তী মৃত্যু কমাতে সিআইপিআরবি’র অবদান অনস্বীকার্য”।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিআইপিআরবি-র পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মাজহারুল হক বলেন, প্রতিষ্ঠার ২০ বছরে শিশুদের ইনজুরি ও পানিতে ডোবা প্রতিরোধে দুইটি গ্লোবাল রিপোর্টে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে সিআইপিআরবি। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ জন গবেষক পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। দেশের ৫০ লাখের বেশি মানুষকে নানাভাবে সেবা প্রদান করার পাশাপাশি প্রায় ৬০ হাজার মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করেছে সিআইপিআরবি। দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষায়, এই প্রতিষ্ঠানের অবদান অনস্বীকার্য।” ২০ বছরের যাত্রার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যা কিছু অর্জন তা উপস্থাপন করেন, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক, অধ্যাপক ড. একেএম ফজলুর রহমান। দেশের স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাসহ দেশি ও বিদেশি সাহায্য সংস্থা, সংবাদ মাধ্যম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন “হাতে গোণা কয়েকজন মানুষকে নিয়ে যে যাত্রা আমরা শুরু করছিলাম, তা আজ বৃক্ষে পরিণত হয়েছে আপনাদের অনুপ্রেরণা, উৎসাহ আর সাহসে ভর করে।”
২০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে, প্রতিষ্ঠানের উপ-নির্বাহী পরিচালক ডাঃ আমিনুর রহমান ইনজুরি, স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের পারস্পরিক প্রভাব বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তার উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ আবুল ফয়েজ, প্রফেসর অব মেডিসিন, সাবেক মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আলোচনায় অংশ নেন ড. মো. মাহবুবুর রহমান, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়াশ, আইসিডিডিআর,বি এবং অধ্যাপক মো. জিয়াউল ইসলাম, পরিচালক, নিপসম।
আলোচকরা বলেন যে জলবায়ু একটি জটিল বিষয় যা জনজীবনের সর্বক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলছে যার মধ্যে স্বাস্থ্যখাত উল্লেখযোগ্য। এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সামগ্রিক পদক্ষেপ নেয়া দরকার। খন্ড খণ্ডভাবে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে যে উদ্যোগগুলো নেয়া হচ্ছে তার মধ্যে উপযুক্ত সমন্বয় সাধন, প্রয়োজনীয় গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, সর্বোপরি সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করা সম্ভব।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দেন ডাঃ এএম জাকির হোসেন, চেয়ারম্যান, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ অ্যাসিসটেন্স ট্রাস্ট, মেম্বার, হেলথ সেক্টর রিফর্ম কমিশন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিআইপিআরবি-র পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মাজহারুল হক বলেন, প্রতিষ্ঠার ২০ বছরে শিশুদের ইনজুরি ও পানিতে ডোবা প্রতিরোধে দুইটি গ্লোবাল রিপোর্টে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে সিআইপিআরবি। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ জন গবেষক পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। দেশের ৫০ লাখের বেশি মানুষকে নানাভাবে সেবা প্রদান করার পাশাপাশি প্রায় ৬০ হাজার মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করেছে সিআইপিআরবি। দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষায়, এই প্রতিষ্ঠানের অবদান অনস্বীকার্য।”
২০ বছরের যাত্রার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যা কিছু অর্জন তা উপস্থাপন করেন, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক, অধ্যাপক ড. একেএম ফজলুর রহমান। দেশের স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাসহ দেশি ও বিদেশি সাহায্য সংস্থা, সংবাদ মাধ্যম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন “হাতে গোণা কয়েকজন মানুষকে নিয়ে যে যাত্রা আমরা শুরু করছিলাম, তা আজ বৃক্ষে পরিণত হয়েছে আপনাদের অনুপ্রেরণা, উৎসাহ আর সাহসে ভর করে।”
২০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে, প্রতিষ্ঠানের উপ-নির্বাহী পরিচালক ডা. আমিনুর রহমান ইনজুরি, স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের পারস্পরিক প্রভাব বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তার উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ আবুল ফয়েজ, প্রফেসর অব মেডিসিন, সাবেক মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আলোচনায় অংশ নেন ড. মো. মাহবুবুর রহমান, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়াশ, আইসিডিডিআর,বি এবং অধ্যাপক মো. জিয়াউল ইসলাম, পরিচালক, নিপসম।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দেন ডা. এএম জাকির হোসেন, চেয়ারম্যান, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ অ্যাসিসটেন্স ট্রাস্ট, মেম্বার, হেলথ সেক্টর রিফর্ম কমিশন।
ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, পরিচালক হেলথ সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশন ও আরটিআই প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিট, সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
একই সাথে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অতিথিদের সুপারিশমালা সিআইপিআরবিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাথেয় হিসেবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ লক্ষ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা চেয়ে এবং সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
জনস্বাস্থ্য গবেষণার দুই দশকদুইশতাধিক গবেষণা নিয়ে সিআইপিআরবির অবিরাম পথচলা
![](https://sonalibangla.com/wp-content/uploads/2025/02/IMG-20250206-WA0008.jpg)