শেখ হাসিনার বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ছাত্র-জনতা

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুরের ঘটনাকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটির চেষ্টা সরকার করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফ্রেবুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রথম কয়েকদিনের আইনশৃঙ্খলা সমস্যার পরে আস্তে আস্তে সবকিছু স্থিতিশীল হয়ে আসছিল (অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর)। এ ধরনের ঘটনাতো তখনও ঘটতে পারত, কিন্তু ঘটেনি। শেখ হাসিনা ভারতে থেকে যেসব বক্তৃতা তিনি দিচ্ছেন সেটাকে ছাত্র-জনতা ভালোভাবে নেয়নি। তিনি অবিরাম উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন তারই ফলশ্রুতিতে এ ঘটনাগুলো ঘটছে বলে আমাদের বিশ্বাস।

‘শেখ হাসিনা এ ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকতেন তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না।’ অভিমত উপদেষ্টার।

সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী সেখানে উপস্থিত হয়েছিল এবং তারা বিরত করতে পেরেছে যেন বাড়াবাড়ি এর চেয়ে বেশি কিছু না হয়। যখন শুরু হয়েছিল তারা সম্পূর্ণ থামাতে পারেনি। কিন্তু এটা যেন ছড়াতে না পড়তে পারে বা আর যেন ক্ষতি না হয় সেটা তারা করতে পেরেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার যে ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে দাবি সরকারের। উনি মাঝে মাঝে বক্তব্য দিলে আবারও যদি ভাঙচুর হয় সেটি সরকার কিভাবে মোকাবেলা করবে নাকি এরকম ছেড়ে দিবে এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, এই প্রশ্নটা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দিলে তিনি আরও ভালো উত্তর দিতে পারবেন। একটা ঘটনা ঘটে গেছে মানে এমনি ঘটনা সবসময় ঘটবে এমন কোনো কথা নয়। তবে কি পদক্ষেপ নিবে সরকার আমার মনে হয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করলে তারা এটা ভালো বলতে পারবে।

তিনি বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন এটাও সত্য। তবে তার সাম্প্রতিক বক্তব্য বেশি আক্রমণআত্মক, যেটা হয়ত তরুণদের সেন্টিমেন্টে লেগেছে। আমরা তো ভারতকে অনুরোধ করেই যাচ্ছি তাকে যেন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়।