বন্যার প্রভাব পড়ছে চালের বাজারে

এবারের বন্যায় আমন-আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি ও সরকারি গুদামে চালের মজুত গত বছরের তুলনায় বেশ কম থাকায় বাড়েছে চালের দাম। এছাড়া বিশ্ববাজারে চালের দাম দেশের বাজারের চেয়ে বেশি। ফলে আমদানির সম্ভাবনাও কম। ফলে সব মিলিয়ে অক্টোবর মাস পর্যন্ত চালের বাজারে অস্থিরতা থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএ থেকে বাংলাদেশের দানাদার খাদ্যবিষয়ক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি গুদাম ও ব্যবসায়ীদের কাছে কী পরিমাণ চাল মজুত আছে তার কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই। ইউএসডিএর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বাজারে চালের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। কারণ বেসরকারি খাতে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪৭ শতাংশ কম চাল মজুত আছে।

জানা গেছে, সরকারি গুদামে বর্তমানে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ২২ দশমিক ১ শতাংশ কম। তবে সরকারি সূত্র বলছে, আগামী তিন মাসের জন্য এই মজুত যথেষ্ট।

ইউএসডিএ’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অক্টোবরে আমন ধান কাটা শুরু হলে দাম কমতে পারে। এ মুহূর্তে বিশ্ববাজারে দাম বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষে চাল আমদানি করা কঠিন হবে। ফলে আগামী কয়েক মাস চালের দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকবে।

এদিকে বোরো ধান সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে রোপণ করা হয়। আর এপ্রিল-মে মাসে তা কাটা হয়। ইউএসডিএ’র প্রতিবেদন বলছে, সাধারণত বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বিপদ আসে। খরা থেকে শুরু করে তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় ও পোকার আক্রমণ এ সময় বেশি হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর ৩৯ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এখান থেকে দুই কোটি পাঁচ লাখ টন চালের উৎপাদন হতে পারে। আউশ মৌসুমে এবার ৯ লাখ হেক্টর জমিতে ২১ লাখ টন ধান হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ কম।