চীনে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে ভূমিধসের এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়ি চাপা পড়ে এবং এর বাসিন্দারা আটকে পড়েন।
এই ঘটনায় শতাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে ভূমিধসের পর অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। স্থানীয় সময় ১১টা ৫০ মিনিটে সিচুয়ান প্রদেশের জিনপিং গ্রামে ভূমিধসে ১০টি বাড়ি চাপা পড়ে এবং বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আটকা পড়েন। অবশ্য দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর একটি বিবৃতি অনুসারে, ভূমিধসের ঘটনার পর ঘটনাস্থলে একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে একটি খাড়া পাহাড় থেকে কাদা এবং পাথরের বিশাল ধস দেখা যাচ্ছে এবং একটি ছোট গ্রামের ওপর সেগুলো নেমে আসে বলে মনে হচ্ছে। চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শত শত জরুরি কর্মী জীবিতদের সন্ধান করছেন। প্রায় ২০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কর্তৃপক্ষকে “নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান ও উদ্ধার, হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং পরবর্তী পরিস্থিতি যথাযথভাবে পরিচালনা করার জন্য যথাসম্ভব সবকিছু করার” নির্দেশ দিয়েছেন।
চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং আশপাশের অঞ্চলে সম্ভাব্য ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকির হুমকি নিয়ে তদন্তের জন্যও বলেছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রামবাসীরা বলেছেন- গত ছয় মাস ধরে ওপর পাহাড়ের নিচে প্রায়ই বড় পাথর গড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। সিনহুয়াকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, হুমকির মুখে থাকা বাসিন্দাদের অন্য আরও বিপর্যয় এড়াতে সরিয়ে নেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন লি।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের দুর্গম, পাহাড়ী অংশে ভূমিধসের প্রবণতা থাকতে পারে।
এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে চীনের ইউনান প্রদেশে একটি খাড়া পাহাড় ধসে পড়ে এবং একটি গ্রামের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। ১১ বছর আগে একই অঞ্চলে পৃথক ভূমিধসে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছিলেন।