জনগণের শান্তির জন্য যা যা করা দরকার, সব করব : জিএমপি কমিশনার

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, জনগণের শান্তির জন্য যা যা করার আমরা অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে সব করবো। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা পুলিশ জনগণের পাশে আছি এবং শান্তিপ্রিয় জনগণও আমাদের পাশে আছে। তারা কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের রাঙ্গা চোখকে বরদাশত করবে না, তাদেরকে দমন করবে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. নাজমুল করিম খান বলেন, আমাদের কাছে ইনফরমেশন আছে, গাজীপুরকে কেন্দ্র করে পতিত সরকার ঘোষণা দিয়েছে, যারা আমাদের ঘুমাতে দেয় না, আমরা গাজীপুরবাসীকে ঘুমাতে দেব না, জনগণকে ঘুমাতে দেব না। তারা যখন ঘোষণা দেয়, জনগণকে ঘুমাতে দেবে না, জনগণকে প্রতিপক্ষ ভেবে জনগণকে শান্তি দেবে না, একথা বলে। তখন পুলিশের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে যায়। পুলিশ অবশ্যই তখন একটু

অ্যাগ্রিসিভভাবে না করলে জনগণকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না তারা।

তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব জনগণকে শান্তি দেওয়া, তার জন্য পুলিশকে আরেকটু ভালো করে পুলিশিং না করলে, জনগণের পাশে না দাঁড়ালে সেটি আমাদের দায়িত্বের অবহেলা হয়ে যায়। এটিকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কনসার্ন হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিদের্শনা এসেছে। অপারেশন ডেবিল হান্ট নামে একটি অপারেশন চালু করেছে। সেই অপারেশনের অংশ হিসেবে আমরা যৌথ বাহিনী অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছি।

জিএমপি কমিশনার আশা প্রকাশ করে বলেন, গাজীপুরে তারা (পতিত সরকার) প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ঢুকিয়েছে। গাজীপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আপনারা দেখেছেন, গত সন্ধ্যায় আমরা পুলিশ ছিলাম, কিছুক্ষণ আগে পুলিশ আমরা ওখান থেকে এসেছি, আমি নিজেও ওখান থেকে এসেছি, কথা বলে এসেছি। ছাত্র-জনতা ছিল, কিছু দূরেই আর্মি ছিল, বিজিবি ছিল। তার মধ্যেই তারা একটি গুলি করে একজনকে আহত করেছে। তারা অশান্ত করার জন্য সবকিছু করছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই দুর্বৃত্তকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশ্যই গ্রেপ্তারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। জনগণের শান্তির জন্য যা যা করার আমরা অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে সব অপারেশনেই করবো। যারা জনগণকে অশান্ত করতে চায়, জনগণকে অস্বস্তিতে রাখতে চায়, জনগণকে ঘুমাতে দিতে চায় না। তাদেরকে সমুচিত জবাব আমরা দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা কখনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি না। আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করি দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসীরা যদি মরতে পারে আমরা কেন মরতে পারবো না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে চাই।

কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত তাদের মধ্যে থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত মোট ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনবো এবং যারাই জনগণকে অশান্ত করবে, যারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, যারা জনগণকে ঘুমাতে দেবে না বলে ঘোষণা দেবে, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশ্যে করা গুলির ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি তো পরিষ্কার, যারা জনগণকে হুমকি দেয় আমরা জনগণকে ঘুমাতে দেবো না। যারা হুমকি দেয় আমরা দেশকে শান্ত থাকতে দেবো না। এ থেকে বোঝাই যায় কারা এটি করছে। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করছি।