টলিপাড়ার অন্যতম নায়িকা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ১১ ফেব্রুয়ারি ছিল মিমির জন্মদিন। জীবনের বিশেষ এই দিনটা তিনি কাটালেন কাছের মানুষদের নিয়েই।
জন্মদিনের মধ্যরাত থেকেই মিমির বাড়িতে হাজির হয়ে যান তার কাছের বন্ধু-বান্ধবেরা। কেক কেটে হই হুল্লোড় করে জন্মদিনের রাত কাটান মিমি। আর এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এল জন্মদিনের বিশেষ উপহার। প্রাক্তন সাংসদকে কী উপহার পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী?
বুধবার মিমি তার ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে যারা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের সবার ছবি পোস্ট করেন। আর সেখানেই দেখা গেল মিমিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিনেত্রীকে ফুলের তোড়াসহ একটি কার্ড পাঠান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মিমি সেই ছবি শেয়ার করে লেখেন ধন্যবাদ দিদি।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই মমতার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠানো হয়। কিন্তু এই বছরটা ছিল অন্যরকম। মিমি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টলিউড তারকারা খুবই প্রিয়। তাই নিয়ম করেই তাদের প্রত্যেকের জন্মদিন বা যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেন না।
গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পরপর দুই রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়্যারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সাংসদ। পদত্যাগ করেছিলেন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকেও।
আর এই প্রেক্ষাপটেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লেখেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। জানা গেছে, চিঠিতে কিছু অভিমানের কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ। এরপরই মিমি সাংসদ পদ ছাড়েন। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ান সায়নী ঘোষ এবং জয়লাভও করেন।
রাজনীতি ছাড়া নিয়ে মিমির কোনওদিনই কোনও ক্ষোভ ছিল না। বরং তিনি মন দিয়েছেন তার অভিনয় ক্যারিয়ারে। একের পর এক সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, জন্মদিনের মধ্যরাতে না জানিয়ে মিমির বাড়িতে হাজির হন তার বন্ধুরা। যেখানে ছিলেন পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়, অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে। নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে কেক কেটেছেন মিমি। নায়িকার ইচ্ছে, তিনি জীবনে প্রচুর টাকার মালিক হতে চান।