মৌসুম শেষ হলেও ক্রেতার নাগালের মধ্যে শীতকালীন শাক-সবজি

শীতের মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও বাজার এখনো ভরে যাচ্ছে শীতকালীন শাক-সবজিতে। বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে সব ধরনের শাক-সবজির। কম দামে কিনতে পারার ফলে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুর-১১ নাম্বার কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় সাইজের ফুলকপি ২০ টাকা, বাধা কপি ৩০ টাকা, বেগুন আকার বেধে প্রতি কেজি ৫০ -৬০ টাকা,
টমেটো ৩০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা কেজি, শালগম ৩০ টাকা কেজি, ঝিঙা ৬০ টাকা কেজি ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকায়, মুলা ১৫ টাকা কেজি, গাজর ২০ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি, শসা ৩০-৪০ টাকা কেজি, শিম ৩০-৫০ টাকা কেজি, শিমের বিচি ১০০ টাকা কেজি, মটরশুঁটি ১২০ টাকা কেজি, ধনিয়া পাতা ৬০-৭০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি, আলু ২০ টাকা কেজি ও লাউ প্রতি পিস (মাঝারি) ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আগে ১৯০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও বর্তমানে বিক্রি করছে কেজি প্রতি ২১০ টাকা করে। সোনালী ২৯০-৩০০ টাকা কেজি, প্রতি ডজন মুরগীর ডিম (লাল) ১৩০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কার্প মাছ প্রতি কেজি ১৭০ টাকা, রুই মাছ আকার অনুযায়ী ১৭০-৩৪০ টাকা কেজি, সরপুঁটি ১৮০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা কেজি, ছোট ইলিশ ২০০- ২২০ কেজি, পাবদা ৩৫০ কেজি এবং ছোট চিংড়ি ১ পোয়া ১৮০ টাকা এবং বড় চিংড়ির কেজি ৯০০-১০০০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ছুটির দিন হওয়ায় সকাল সকাল বাজার করতে আসছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আতিক হাসান। তিনি বলেন, বাজারে সবজির দামে এখন কিছুটা স্বস্তিতে আছি। শীত প্রায় শেষ হয়ে গেলেও বাজারে এখনো শীতকালীন শাকসবজি ভরপুর পাওয়া যায়। সবসময় শাকসবজির দাম কম থাকলে সকলের জন্য ভালো হতো।

একই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, এখন দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। শীত শেষ হয়ে যাচ্ছে। সামনে হয়তো আবারও দাম বাড়তে পারে। তবে দু-একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। যারা কিনতে আসছে এখন তারা কম টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করে নিয়ে যেতে পারছে।