সিন্ডিকেট ভাঙা অত সহজ ব্যাপার নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, সিন্ডিকেট হচ্ছে চেইন অব পিপলস। হয়তো একজন বেশি নিয়ন্ত্রণ করে, একজন আমদানি করে কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসে, তারাও সিন্ডিকেটের অংশ। এমনকি খুচরা দোকানদাররাও সিন্ডিকেটের অংশ।
জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, রাজস্বনীতি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতাসহ অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অর্থ উপদেষ্টার একটি একান্ত সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় দৈনিক খবরের কাগজে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল।
সাক্ষাৎকারে সিন্ডিকেট ভাঙা প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমি কথা বলেছি, অনেকে বলছে সিন্ডিকেট ভাঙছে কি না? সিন্ডিকেটের তো কোনো অফিস নেই। সিন্ডিকেট হচ্ছে চেইন অব পিপলস। হয়তো একজন বেশি নিয়ন্ত্রণ করে, একজন আমদানি করে কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসে, তারাও সিন্ডিকেটের অংশ। এমনকি খুচরা দোকানদাররাও সিন্ডিকেটের অংশ। আপনি জানবেন না তারা কোন দোকানে পণ্য লুকিয়ে রেখেছে। অতএব, ভোক্তাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
তিনি বলেন, একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকারের লোকজন বাজারে যায়, জরিমানা করে। এতে যে বাজারে দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে, তা নয়। আপনি দেখবেন বাজারে এখন লোকজন সবজির ক্ষেত্রে দামে কিছুটা সাশ্রয় পাচ্ছে, আবার এপ্রিলের দিকে দাম বেড়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে এগুলো একটা নিয়মের মধ্যে আনা যায়। সবাই খারাপ নয়, কিছু ভালো লোক আছে বাজারে। ট্রাকে পণ্য আনার ক্ষেত্রে মাঝ পথে চাঁদাবাজরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্রিজের কাছে দাঁড়িয়ে থেকে চাঁদা তুলছে। এদের আমরা চাঁদাবাজ বলি।
পণ্য লোড-আনলোডের ক্ষেত্রেও একটা সিন্ডিকেট আছে। এ ছাড়া আছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজি। সেখানেও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে মূল্যস্ফীতিটা নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে। কাজেই সিন্ডিকেট ভাঙা অত সহজ ব্যাপার নয়, বলে জানান তিনি।