বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন নিয়ে যে তথ্য দিচ্ছে হাইয়ারগভ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দেশটির এই অর্থায়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অনুদান ও সহায়তা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হাইয়ারগভ বলছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মাধ্যমে ২৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার জন্য চুক্তি হয়েছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) এবং যুক্তরাজ্যের অধুনালুপ্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ডিএফআইডি) অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালীকরণে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ধাপে ধাপে অর্থ ছাড় করা হয়েছিল।

হাইয়ারগভের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ডিআইয়ের প্রকল্প শুরুর পর থেকে ২০২২ থেকে ২০২৫ সালে শেষ হওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে শেষ হওয়া প্রকল্পের জন্য ১৬ দফায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল। আর ২০২৪ সালে শেষ হবে, এমন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।

হাইয়ারগভের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি সইয়ের পর এসপিএল প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয় মার্চে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মাধ্যমে ২৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার জন্য চুক্তি হয়েছিল। ইউএসএইডের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ৮ বছর ৭ মাস নির্ধারণ করা হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিওএজি তাদের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্প ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’-এ ২৯ মিলিয়ন অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসপিএলে অর্থায়ন বাতিলের বিষয়টি সামনে আনেন। ট্রাম্প এ নিয়ে দুই দফা কথা বলেছেন।

হাইয়ারগভের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প বাংলাদেশে প্রকল্পের যে অর্থায়ন বাতিলের কথা বলছেন, সেটি শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প।

এ প্রসঙ্গে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার কাছে কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে এবং কে সেটা খরচ করেছে। আমরা এখনও জানি না। আমরা জানি না বিষয়টা কে করেছে এবং আমাদের যে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো তারা বলেছে, এ রকম কোনো এন্ট্রি তাদের নাই।

একটি এনজিওতে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, কোনো টাকা এনজিও ব্যুরোর অ্যাপ্রুভাল ছাড়া ক্যাশ করা সম্ভব না। কাজেই ২৯ মিলিয়ন ডলারের ব্যাপারে এনজিও ব্যুরো কিছু দেখতে পাচ্ছে না। তাহলে আমাদের আপাতত তাদের কথা মেনে নিতে হবে। তারপর যদি কোনো তথ্য বের হয় সেটাকে আমরা দেখব।