পাকিস্তানে চলছে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এর মধ্যে পাকিস্তান অলিম্পিক এসোসিয়েশন দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিকখ্যাত এসএ গেমস আয়োজনের প্রস্তুতি চলমান রেখেছে। আজ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে লাহোরে দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমস নিয়ে সভা। সেই সভায় আগামী বছরের ২৩-৩১ জানুয়ারি গেমসের সময়সূচি চূড়ান্ত হয়েছে।
এর আগে কয়েক দফা পিছিয়ে এই গেমসের সর্বশেষ সম্ভাব্য সূচি ছিল চলতি বছর নভেম্বর। লাহোরে আজ এসএ গেমস সংক্রান্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও নির্বাহী সদস্য সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর। লাহোর থেকে সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ‘২৩-৩১ জানুয়ারি গেমসের সূচি নির্ধারিত হয়েছে। গেমস অনুষ্ঠিত হবে লাহোর, ফয়সালাবাদ ও ইসলামবাদ তিন শহরে। আজকের সভায় গেমসের ডিসিপ্লিনও চূড়ান্ত হয়েছে। কোন শহরে কোন ডিসিপ্লিন হবে এটা পরবর্তীতে অবহিত করবে।’
২০১৯ সালে নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় সর্বশেষ এসএ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই গেমসে উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ডিসিপ্লিন হকি ছিল না। অলিম্পিক হকিতে পাকিস্তানের পদক রয়েছে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন গেমসে হকি রয়েছে ডিসিপ্লিনের তালিকায়। আজকের সভায় অনুমোদিত ডিসিপ্লিনগুলো হলো– ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, ভলিবল, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেট (টি-২০), আরচ্যারি, বক্সিং, ফেন্সিং, গলফ, জুডো, কারাতে, শ্যুটিং, স্কোয়াশ, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ট্রায়াথলন, ভারত্তোলন, কুস্তি, উশু, কাবাডি ও রাগবি।
আজকের সভায় সশরীরে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অলিম্পিক এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা সকল ডিসিপ্লিনে অংশগ্রহণের বিষয়টি মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেছেন। সামনে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের বিভিন্ন ইভেন্টে খেলোয়াড় এন্ট্রির কাজ শুরু হবে।
চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলছে না। মাত্র একটি ক্রিকেট দলই যখন যায়নি সেখানে বিশের অধিক ডিসিপ্লিনে কন্টিনজেন্ট সংখ্যা হবে কয়েক’শ। এত সংখ্যক ভারতীয় ক্রীড়াবিদ, কর্মকর্তা ও কোচরা কি পাকিস্তানে যাবেন, সেটা সাম্প্রতিক সময়ে উপমহাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ওঠা বড় প্রশ্ন। এরপরও আজকের সভায় গেমস হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা সিরাজউদ্দিন আলমগীর, ‘সভায় ভারত অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা জুমে যুক্ত হয়েছিল। তারা গেমসে অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখনও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। পাকিস্তান সরকারও গেমস আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করছে পাকিস্তান অলিম্পিক এসোসিয়েশনকে। অন্য দেশগুলোও খেলতে আগ্রহী। সব মিলিয়ে আসন্ন গেমস আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এসএ গেমসের সংস্কৃতি মানেই কয়েক দফা সময় পেছানো। পাকিস্তান এসএ গেমস নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে আজই প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা করেছে। ফলে গেমস আয়োজনে তারা কিছুটা হলেও যে অগ্রসর হয়েছে এটা প্রতীয়মান। বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের জন্য বড় উপলক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ান গেমস। এই গেমসের নতুন সূচি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নতুন স্বপ্নের উঁকি দিচ্ছে।