পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন রোববার। সিয়াম সাধনার এই দিনে মানুষজন বিকেলে কর্মস্থল থেকে নিজ বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে একত্রে ইফতার করতে চান। যে কারণে অফিস ছুটি শেষে বিকেল তিনটা পর ঘরমুখো মানুষজন রাস্তায় বের হয়েছেন। বিভিন্ন যানবাহনে করে তারা নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে একসঙ্গে অনেক মানুষ বের হওয়ায় ইফতারের আগের সময়টাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানজট তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রামপুরা এলাকায় যানজট দেখা গেছে বিকেল তিনটার পর।
রোববার (২ মার্চ) বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন থেকে উত্তরাগামী এবং উত্তরা থেকে পল্টনগামী রাস্তায় যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোন বড় ধরনের যানজটের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। তবে উভয় গন্তব্যের যানবাহনগুলোকে রামপুরা এলাকায় যানজটে পড়তে হয়েছে। উত্তরা থেকে পল্টনগামী যানবাহনগুলোকে যেমন রামপুরায় যানজটে পড়তে হয়েছে, তেমনি পল্টন থেকে উত্তরাগামী যানবাহনকেও রামপুরায় যানজটে পড়তে দেখা গেছে। বলতে গেলে বিকেল তিনটার পর রামপুরা এলাকায় গাড়ি বারবার আটকে যাচ্ছে।
যানজট সৃষ্টি হলেও রামপুরা এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথাসম্ভব চেষ্টা করছে ট্রাফিক। তারা বলছেন, একসঙ্গে অনেক গাড়ি বের হওয়া এবং রামপুরা ব্রিজ এলাকায় বিভিন্ন দিক থেকে গাড়ি আসার ফলে এখানে কিছুটা গাড়ির চাপ বেড়ে জটলা তৈরি হচ্ছে। যে কারণে যানবাহনকে এখানে কিছু সময় আটকে যেতে হচ্ছে।
যাত্রীরা বলছেন, প্রথম দিনে তেমন কোনো যানজট পাওয়া যায়নি। তবে রামপুরায় গাড়ি কিছুক্ষণ আটকে থাকে। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো গাড়ি আটকে থাকে।
এ বিষয়ে ভিক্টর ক্লাসিক বাসের যাত্রী জাহিন উদ্দিন বলেন, আমি পল্টন থেকে বাসে উঠেছি কুড়িল বিশ্বরোডে যাব। পল্টন থেকে গাড়ি মোটামুটি স্বাভাবিকভাবে চলে এসেছে। কিন্তু রামপুরা এসে ৩০ মিনিটের মতো যানজটে পড়ে যায়। রামপুরা ছাড়া বাকি রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এখন রামপুরা থেকে সামনে রাস্তায় যানজট না থাকলেই হয়।
উত্তর বাড্ডা থেকে মোটরসাইকেলে করে সাইদুর রহমান মালিবাগে নিজ বাসায় যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাস্তা মোটামুটি ক্লিয়ার। তবে রামপুরা এসে অনেকক্ষণ আটকে রয়েছি। এখানে গাড়ির চাপ অনেকটা বেশি। তবে আশা করি দ্রুত গাড়ি চলে যাবে।
রামপুরার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিকের রামপুরা বিভাগের রামপুরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আরিফুল ইসলাম তত্ত্বাবধান করছেন।
তিনি বলেন, আজকে রোজার প্রথম দিন সব মানুষ বিকেল তিনটার পর নিজ বাসায় যাচ্ছেন ইফতার করার জন্য। তাই স্বাভাবিকভাবে গাড়ির চাপ একটু বেশি। তবে আমি বলতে পারি অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় আজ রাস্তায় রোজার দিনে যান চলাচল অনেক স্বাভাবিক। তবে রামপুরায় গাড়ির একটু চাপ রয়েছে সে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা চেষ্টা করছি। আশা করি যাত্রীদের খুব বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।