যে ৮ ব্যাংকে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় সর্বেচ্চ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে। মাসটির পুরো সময়ে এসেছে প্রায় ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ৮৪১ কোটি টাকার বেশি। এদিকে অপারেশনে থাকা ৬০ ব্যাংকের মধ্যে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮টিতে। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারিসহ বিদেশি ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে দেশে প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার বা ৩১ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ সময়ে ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৩টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। আর বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৭ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করলো। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পা‌ঠি‌য়েছেন প্রবাসীরা।

একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।