ওপার বাংলার টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ মানসী সেনগুপ্ত। দ্বিতীয়বারের মতো মা হতে চলেছেন এই অভিনেত্রী। মানসীর বড় মেয়ের বয়স বর্তমানে আট বচর। মাঝে স্বামীর সঙ্গে অনেকটাই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
এমনকি বিষয়টি এতটা বড় হয়েছিল যে, আলাদা থাকছিলেন তারা। তবে ধীরে ধীরে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সমস্যা মিটিয়ে নেন দু’জনে। আবার একসঙ্গে থাকা শুরু করেন।
অতীতের তিক্ততা ভুলে সম্পর্ক অনেকটা মধুর হয়েছে এই তারকা দম্পতির। দু’জনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দ্বিতীয়বারের মতো সন্তান নেবেন। এই অব্দি তো ঠিকই ছিল, তবে সমস্যা হল পরে।
তারকাদের নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তার মধ্যে টলি পাড়ার নায়িকাদের জীবনে কখন কী ঘটছে, তা নিয়ে সকলের মধ্যে থাকে বাড়তি কৌতূহল। বিশেষত তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন অনেকের নজর থাকে।
মানসীর ক্ষেত্রেও এর বিকল্প হয়নি। তাকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। এমনকী এই সময়ও তার স্বামীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করা হচ্ছে অভিনেত্রীকে।
কোথায় মানসীর স্বামী? কেন অভিনেত্রীর স্বামীকে তার সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায় না? তাদের মধ্যে কোনও সমস্যা চলছে? কেন নায়িকার সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন না?
নিন্দুকদের অনেকেই ইত্যাদি নানা প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছেন। অবশেষে সেসব কটাক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মানসী বলেন, ‘দ্বিতীয়বার মা হওয়ার কথা ঘোষণার পর কম কটাক্ষ ধেয়ে আসেনি। একটা করে ছবি দিয়েছি, ঝড়ের মতো মন্তব্য আছড়ে পড়েছে। কম বেশি একটাই প্রশ্ন সকলের, আমার স্বামী কোথায়? তার সঙ্গে কি আবার ঝামেলা হয়েছে? একটা সময় সত্যিই আমাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সে কথা কোনও দিন লুকোইনি। মেয়ের মুখ চেয়ে আমরা সে সব মিটিয়েও নিয়েছি। তারপর দ্বিতীয়বারের মতো মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত। আমার স্বামী প্রচারবিমুখ। ফল সামাজিক মাধ্যমেও দেখা যায় না তাকে। এসব কি জোর করে কাউকে দিয়ে করানো যায়? তার মানে স্বামীর সঙ্গে আমার ঝামেলা! এখন মনে হয়, আগামীতে আমার সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে না প্রশ্ন তৈরি হয়!’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘শ্বশুর-শাশুড়ি খুবই অল্পবয়সে মারা গেছেন। ফলে যে কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমার বাবার বাড়ির সদস্যদের উপস্থিতি। আমার সাধের সময়েও তাই হয়েছে। তাতেও যেন সকলের সমস্যা। প্রশ্ন ওঠে, কেন শ্বশুরবাড়ি থেকে সাধ খাওয়ানো হয়নি! নিন্দুকদের জানাতে চাই, তাদের কী করে ফিরিয়ে আনব বলুন তো? এই প্রসঙ্গে আরও একটা কথা, সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানে সাধারণত ছেলেরা আমন্ত্রিত থাকেন না। এমনই রীতি। আমাদের বাড়িতে অন্তত সেটা পালন হয়। আমার বাবা পর্যন্ত ছিলেন না। সেখানে বরকে কী করে নিমন্ত্রণ করি? এ সব নেটাগরিকদের কী করে বোঝাই!’
প্রসঙ্গত, মানসীর এবারের গর্ভাবস্থা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথম সন্তান হওয়ার সময়ও কিছু সমস্যা হয়েছিল। খুবই অল্প বয়সেই প্রথম মাতৃত্ব আসে। নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্মেছিল তার মেয়ে। এবার মাতৃত্ব চুটিয়ে উপভোগ করেছেন নায়িকা।
সেইসঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজও করেছেন। শারীরিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, নিজেই গাড়ি চালিয়ে যাতায়াত করেছেন। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের জন্য চিকিৎসক ১৯ মার্চ সময় দিয়েছেন মানসীকে। তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন, ছেলে হোক বা মেয়ে যাই হোক, সে যেন সুস্থভাবে জন্ম নেয়।