ঈদকে সামনে রেখে নাড়ির টানে ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। পদ্মা সেতু দিয়ে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ২৪ জেলার মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন।
পদ্মা সেতুর কল্যাণে এ বছরও এই পথে ঈদযাত্রা একেবারেই নির্বিঘ্নে হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দূরপাল্লার যানবাহনের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কোথাও তেমন কোনো বিড়ম্বনা বা যানজট নেই। এদিকে পদ্মা সেতু টোল প্লাজা থেকে দ্রুত টোল সংগ্রহ করতে টোল আদায়ের সবগুলো বুথ সচল রাখা হয়েছে। যানবাহনগুলো দ্রুত সময়ে সেতু পারাপারের জন্য সাতটি বুথে নিরবচ্ছিন্ন টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়া বরাবরের মতো মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে আলাদা লেন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঈদযাত্রায় মহাসড়কের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
মাদারীপুরের শিবচর এলাকার মোটরসাইকেল যাত্রী সাইফুল বলেন, আমি প্রায় দিনই ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যাতায়াত করি। এ বছর ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় এখনো তেমন কোনো যানজট নেই।
বাসযাত্রী কাইয়ূম বলেন, আমার বাড়ি নড়াইল জেলায়। ঈদ করতে বাড়ি ফিরছি। সকালবেলা হাইওয়ে হয়ে অন্যান্য সময়ের মতো চলে আসছি। মনেই হয়নি ঈদে বাড়ি ফিরছি।
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, পুরো মহাসড়কের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের আটটি ইউনিট কাজ করছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই জিয়া বলেন, মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু এলাকায় কোনো যানজট নেই। নির্বিঘ্নে গাড়ি পারাপার হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে চার স্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ সড়কে ঈদের আগে ও পরে নিরাপত্তার স্বার্থে দিন ও রাতে হাইওয়েসহ চার শতাধিক পুলিশ কাজ করবে।