চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী। এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে উত্তরপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও। শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁসের গুজব ঠেকাতে মনিটরিং টিম কাজ করছে। আর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত পরীক্ষার্থীরা প্রয়োজন সাপেক্ষে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
শিক্ষাজীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি। এবার ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে চলতি মাসের বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) শুরু হতে যাচ্ছে এ পরীক্ষা। এবারের এসএসসি পরীক্ষা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছে সারা দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী।
এরইমধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে উত্তরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামও। বসানো হয়েছে সিট নম্বর। নিশ্চিত করা হয়েছে কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশেষ কোনো মহলের গুজব নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীও।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খোন্দকার এহসানুল কবির বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখনও পর্যন্ত আমরা আমাদের কোনো ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী এবং আমাদের মনিটরিং টিম যেটা আছে এবং প্রত্যেক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সজাগ আছেন।
জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত অনেক শিক্ষার্থীই এবার পরীক্ষায় অংশ নেবে। তাই পরীক্ষার হলে বসে লিখতে অক্ষম পরীক্ষার্থীরা প্রয়োজন সাপেক্ষে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য নির্ধারিত সুবিধা পাবে।
ড. খোন্দকার এহসানুল কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষার হল রুমে বসে পরীক্ষা দিতে অক্ষম হয়, তাহলে প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে সেই নির্দেশনা দেয়া আছে কীভাবে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে। আহত অনুসারে তারা সেই ব্যবস্থা করবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম এ পাবলিক পরীক্ষায় গুজব প্রতিরোধসহ সব ধরনের অপতৎপরতা রোধে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালামের।
এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ১৩ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষাবোর্ড