দুই ইনিংসেই ব্যর্থ মুশফিক, অতীতের সুখস্মৃতি টানলেন মুমিনুল

সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না মুশফিকুর রহিমের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যাট হাতে রান করতে না পারার পর সমালোচনার মুখে তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টেস্টেও চিরচেনা মুশফিকের দেখা মিলছে না। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন মোটে ৮ রান। প্রথম ইনিংসে ৪ রান করার পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসেও করলেন স্রেফ ৪।

তবে অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন মুমিনুল হক। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেছেন, ‘আমি তাকে নিয়ে কোনোভাবে চিন্তিত না। উনি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। জানেন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, কীভাবে রান করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সবার যে জিনিসটা ভুলে যাওয়া উচিৎ না, উনি বাংলাদেশ দলের জন্য কী করেছেন। আর উনার রান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কতটুকু কী করতে পারেন। মাঝেমধ্যে ম্যাচসেরা ইনিংসও খেলেন।’

একইসঙ্গে মুশফিকের ওপর কেন আস্থা রাখা জরুরি সেই যুক্তিও দেখিয়েছেন মুমিনুল, ‘আমার কাছে মনে হয় উনি এখন আরও ভালোভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারবেন, যেহেতু বাকি দুইটা ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন একটা ফরম্যাটে মনোযোগ দেবেন। এজন্য মনে হয় আগের চেয়ে আরও ভালো খেলতে পারবেন, একটা ফরম্যাটে যখন খেলবেন তখন একটা লাইনে থাকবেন, পারফর্ম করাটাও সহজ হয়ে যায়।’

অন্যদিকে, মুশফিকের মতোই সিলেট টেস্টে ব্যর্থ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও। তার প্রসঙ্গ উঠতেই মুমিনুল বললেন, ‘আমি তো আর ব্যাটিং কোচ না (হাসি)। কোচরা হয়তো বলতে পারবেন ওর সমস্যা কোথায়। এই ইনিংসে যতটুকু দেখেছি আমি ননস্ট্রাইকে ছিলাম, আমার কাছে তাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। যে বলে আউট হয়েছে সেটি দুর্ভাগ্যজনক ছিল। যতক্ষণ ব্যাটিং করেছে ততক্ষণ ভালোই মনে হয়েছে। টেকনিকের বিষয়ে কোচরা ভালো বলতে পারবেন।’

আজ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছে আলোকস্বল্পতার কারণে। দিন শেষ হওয়ার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করেছে বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত’র সংগ্রহ ৬০ এবং জাকের আলি অনিকের ২১ রান। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে বাংলাদেশের লিড এখন ১১২ রানের। এর আগে তারা প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ৮২ রানে পিছিয়ে ছিল।