জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর থেকে অহি-নকুল সম্পর্ক যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সংঘাত চরমে। এরই মধ্যে নিজেদের আকাশসীমায় ভারতের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। পাল্টা একই সিদ্ধান্ত নেয় ভারতও। আর এ পরিস্থিতিতে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া।
জানা গেছে, পাকিস্তানের ওপর দিয়ে ওড়া বন্ধ হওয়ায়, বিকল্প পথে উড়ে যেতে খরচ বহুগুনে বেড়ে যাবে এয়ার ইন্ডিয়ার। পাকিস্তানের আকাশসীমা যদি এভাবে বন্ধ থাকে, তাহলে বাড়তি ৬০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে তাদের। বাড়তি জ্বালানি, ফ্লাইট চলার সময়ও বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে যাতায়াতে বেশি সময় লাগলে যাত্রীদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। বিমান সংস্থার দাবি, এই অবস্থা চলতে থাকলে, বছরে বাড়তি ৫৯১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে তাদের।
পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে সংঘাত বেঁধেছে। আপাতত আগামী ২৩ মে পর্যন্ত অন্তত পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। যদিও আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
আরও জানা গেছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের পর বিকল্প পথে চীনের আকাশসীমার গা ঘেঁষে বিমান ওড়ানোর কথাও ভাবছে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু তার জন্য চীনের ছাড়পত্র প্রয়োজন, যা নিতেও সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছে বিমান সংস্থাটি। সূত্র : রয়টার্স
গত ২২ এপিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। এ ঘটনায় পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত এমন অভিযোগ তুলে ভারত। এরপর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এ ঘটনার পর পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল ও সীমান্ত বন্ধ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ এবং সিমলা চুক্তি স্থগিত করে।
এসবের মধ্যে গত বুধবার পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী হঠাৎ করে জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভারত তাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। এরমধ্যে আবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগামের হামলার জবাব দিতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ‘অপারেশনাল ফ্রিডম’ দেন। এতে পাকিস্তানে হামলার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। তবে পাকিস্তান সতর্কতা দিয়ে বলেছে, যদি তাদের ভূখণ্ডে কোনো ধরনের হামলা হয়। তাহলে এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে।