স্বামী-গর্ভের সন্তান নিয়ে নোংরা কথা, মাকে নিয়ে মন্তব্যে নারাজ অহনা

ড্যান্স বাংলা ড্যান্সে মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী অহনা দত্ত। তাদের জুটি নজর কেড়েছিল দর্শকদের। এরপরই অনুরাগের ছোঁয়ায় সুযোগ পায় নায়িকা। আর সেখানেই রূপটান শিল্পী দীপঙ্করকে মন দিয়ে বসেন তিনি। কিন্তু ডিভোর্সি ছিলেন দীপঙ্কর। তাই এই সম্পর্ক মানেননি তার মা চাঁদনি গঙ্গোপাধ্যায়।

এখন মেয়ে গর্ভবতী কিন্তু তা জানার পরও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি চাঁদনী। এই দূরত্ব কি কখনওই ঘোচার নয়? সেটা জানতে চেয়ে অহনার সঙ্গে হিন্দুস্থান টাইমস যোগাযোগ করলে সোজাসাপটা জবাব দেন নায়িকা।

মেয়েদের এই সময় মাকেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। কিন্তু অহনার ভাগ্যে তা জোটেনি, পরিবর্তে জুটেছে নানা কটূক্তি, অহনার দাবি অন্তত তাই। তাই মায়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে নারাজ নায়িকা।

হিন্দুস্থান টাইমসকে অহনা বলেন, ‘আমি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও যদি কেউ আমার বিষয়ে, আমার স্বামী বা আগত সন্তানের বিষয়ে খারাপ মন্তব্য করতে পারেন। শুধু খারাপ না নোংরা মন্তব্য করতে পারেন, তাহলে আমি তাদের নিয়ে কথা বলতে চাই না।’

অনেকটা অল্প বয়সে মা হচ্ছেন অহনা। যদিও খুব ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেমনটা নয়। তার কথায়, ‘আমি কোনওদিনই খুব ভাবনা চিন্তা করে কিছু করি না। আমরা কখনওই খুব বেশি পরিকল্পনা করে কোনও কাজ করিনি। একটা সময় মনে হয়েছিল আমাদের রেজেস্ট্রি করে নেওয়া দরকার, তখন তাই করেছি। তারপর একেবারে উপহারের মতো আমাদের সন্তান জীবনে এসেছে, ওকেও আমরা সাদরে গ্রহণ করেছি।’

ঠিক কীভাবে দীপঙ্কর স্ত্রীয়ের যত্ন নেন? জানতে চাওয়া হলে অহনা একটু লাজুক হেসে দীপঙ্করের হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তার থেকেই বরং জেনে নিন’। মাতৃত্বকালীন এই সময় স্ত্রীর কীভাবে যত্ন নিচ্ছেন দীপঙ্কর? প্রশ্নে একরাশ হেসে রূপটানশিল্পী বলেন, ‘কেবল এখন যে আলাদা করে যত্ন নিচ্ছি তেমনটা কিন্তু নয়। প্রথমদিন থেকেই আমি তাকে এভাবেই যত্নে রাখার চেষ্টা করতাম।’

তার কথায়, ‘রাত দুটোর সময় অহনা কখনও বলে কেক খাবো, আবার কখনও আইসক্রিমের জন্য বায়না করে। তাই সেসব আমাকে ফ্রিজে মজুত করে রাখতে হয়। তাছাড়া বিভিন্ন চকোলেট তো আছেই।’

শুধু কেক চকোলেট না অহনার সাধ মেটাতে প্রতি সপ্তাহেই প্রায় তাকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় যান দীপঙ্কর। নায়িকার শাশুড়ি মা গত হয়েছেন বেশ কয়েকমাস হল। অন্যদিকে, মা চাঁদনী সাধ দেওয়া তো দূর, মেয়ের খোঁজও নেয়নি। তাই স্বামী দীপঙ্করই ছুটি পেলে নানা রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়ে অহনার সাধপূরণ করেন।